কালনা: মোবাইলে গেম খেলার ঝোঁক ছিল। শেষ পর্যন্ত ওটাই কি কাল হল? মোবাইলে গেম খেলতে খেলতেই মৃত্যু হল এক কলেজ পড়ুয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। মৃত পড়ুয়ার নাম রাহুল পাল। বাড়ি কালনার বিদ্যানগর এলাকায়। নবদ্বীপ কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন রাহুল। সোমবার সন্ধেয় বাড়িতেই নিজের ঘরে বসে মোবাইলে গেম খেলছিলেন। তারপর রাতে যখন তাঁর দেহ উদ্ধার হয়, তখনও পায়ের কাছে পড়ে মোবাইল। স্ক্রিনে তখনও খোলা একটি মোবাইল গেম। পরিবারের সন্দেহ, মোবাইলে গেম খেলার সময় অত্যধিক মানসিক চাপের কারণেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে রাহুলের।
বিদ্যানগরের ওই বাড়িতে বাবার সঙ্গে থাকতেন রাহুল। গতসন্ধেয় রাহুলের বাবা বাজারে গিয়েছিলেন। রাহুল সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন। একা। নিজের ঘরে। মোবাইলে গেম খেলায় মগ্ন। এরপর যখন বাবা বাড়িতে ফেরেন, তখন অনেক ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাননি। ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। উদ্বিগ্ন বাবা তখন সাহায্যের জন্য প্রতিবেশীদের ডাকেন। সকলে মিলে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই দেখা যায়, রাহুল অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। আর তাঁর পায়ের কাছেই পড়ে মোবাইল ফোন। সেখানে তখনও খোলা রয়েছে গেমটি।
এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কালনা হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বোঝা যাবে।
তবে বিষয়টি নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার এক চিকিৎসক অংশুমান বাগের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল টিভি নাইন বাংলার তরফে। ঘটনার বিবরণ শুনে প্রাথমিকভাবে তাঁর ব্যাখ্যা, সাধারণ কোনও মোবাইল গেম খেলার সময় উত্তেজনার বশে কিংবা মানসিক চাপে মৃত্যু খুব একটা হয় না। তবে কোনও চ্যালেঞ্জিং গেম হলে, সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। চিকিৎসক অংশুমান বাগ মনে করছেন, এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ কোনও রোগের কারণে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।