
পূর্ব বর্ধমান: ছেলের ধারাল অস্ত্রের কোপে বাবার মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। কৃতকর্মের কথা স্বীকারও করেছেন অভিযুক্ত। তবে জানান, রাগের বশে এমনটা করে ফেলেছেন। পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার দেনো গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহতের নাম বাসুদেব পাত্র (৬৪)। গরু দেখাশোনার কাজ করতেন তিনি। সঙ্গে চাষাবাদ। বাবা-ছেলে একইসঙ্গে কাজ করতেন।
এলাকার লোকজন জানান, বাসুদেব পাত্র ও ছেলে বিশ্বজিৎ পাত্র বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর গোয়ালে গিয়েছিলেন। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে। সেখানেই ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, এমন ঘটনা ঘটানোর পর শ্বশুরবাড়িতে ফোন করেন বিশ্বজিৎ। জানান, এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তো শুনে থ!
এরপর তাঁরা আবার মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে ফোন করেন। খোঁজ খোঁজে দেখা যায় গোয়ালঘরে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে আছেন ওই বাসুদেব। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মাধবডিহি থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে শুক্রবার ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিশ্বজিৎ পাত্রকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবারই বর্ধমান আদালতে তোলা হয় তাঁকে।
নিহতের পরিবার, প্রতিবেশীদের দাবি, অভিযুক্ত কয়েকদিন ধরে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন। নিহতের ভাই গোলোকবিহারী পাত্র বলেন, “ক’দিন ধরেই একটু এদিক ওদিক কথা বলছিল ভাইপো। বাবা ছেলে গোয়াল ঘরের কাজে গিয়েছিল। সেখানেই এসব হয়। এরপর শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে বলেছে বাবাকে খুন করেছে। সেখান থেকে আবার আমাকে ফোন করেছে।”
প্রতিবেশী মহাদেব পাত্রের কথায়, গোয়াল ঘরে গিয়ে মেরেছে। রাত সাড়ে ৭টার ঘটনা হবে। তারপরই এলাকায় হইহই পড়ে যায়। একটা কাস্তে পাওয়া গিয়েছে ওখান থেকে। মনে করা হচ্ছে, ওটা দিয়েই মেরেছে। মহাদেব পাত্রের কথায়, “শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে বলছে, বাবাকে মেরে দিয়েছি। গিয়ে দেখি গরুর সামনেই পড়ে আছে। গ্রামের লোকেরা পুলিশকে ফোন করে। প্রথমে লুকিয়ে ছিল ছেলে। আজ সকালে ধরেছে। ছেলেটার মাথার ঠিক নেই। পাশেই আমাদের ঘর। অশান্তি থাকলে তো শুনতাম। শ্বশুর, বউ, নাতি নাতনি থাকে।” যদিও অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ পাত্রে বলেন, “আমি মারিনি। বাপ ব্যাটার ঝামেলায় রাগে কোপ বসিয়ে দিয়েছি।”