Burdwan: ‘হোটেলে রুম নিয়ে ঘণ্টাখানেক থাকেন স্যর ম্যাডাম’, বর্ধমান শহরে এ কী কাণ্ড?
Burdwan: হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবিবার দুপুরে হোটেলে এসেছিলেন ওই যুবতী। সঙ্গে ছিলেন এক যুবকও। হোটেলের এন্ট্রি খাতায় নিজেদের স্বামী স্ত্রী হিসাবেই পরিচয় দেন তাঁরা। হোটেল দেখভালের দায়িত্ব যিনি, সেই কর্মী জানান, প্রায়ই তাঁরা এই হোটেলে আসতেন। ঘণ্টাখানেক থেকে চলে যেতেন। এদিনও তেমনই হয়।
পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র হিসাবে পরিচিত কার্জন গেট। সেই কার্জন গেট সংলগ্ন এক হোটেল থেকে উদ্ধার হল এক যুবতীর মৃতদেহ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ইঙ্গিত মিলছে। রবিবার বিকালে যুবতীর দেহটি উদ্ধার করে বর্ধমান পুলিশ।
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবিবার দুপুরে হোটেলে এসেছিলেন ওই যুবতী। সঙ্গে ছিলেন এক যুবকও। হোটেলের এন্ট্রি খাতায় নিজেদের স্বামী স্ত্রী হিসাবেই পরিচয় দেন তাঁরা। হোটেল দেখভালের দায়িত্ব যিনি, সেই কর্মী জানান, প্রায়ই তাঁরা এই হোটেলে আসতেন। ঘণ্টাখানেক থেকে চলে যেতেন। এদিনও তেমনই হয়।
ওই হোটেল কর্মী বলেন, “দুপুর ১টা ৪৫ নাগাদ বেরিয়ে যাচ্ছিলেন স্যর। আমি জানতে চাইলাম ম্যাডাম কি নামছেন? উনি হ্যাঁ বলেন। তারপর বেরিয়ে যান। তবে অন্যান্য দিন একইসঙ্গে নামেন ওনারা। আজ নামেননি। এর মিনিট পাঁচেক পর আমাদের একজন উপরে যান। দেখেন ওই রুমের দরজা ভেজানো। খুলে দেখেন ম্যাডাম বিছানায় পড়ে আছেন। তারপর ডাকাডাকি শুনে আমিও গেলাম। এরপরই থানায় খবর দিই। পুলিশ এসে দেহ নিয়ে যায়।”
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলেও অনুমান তাদের। বর্ধমান শহরের জিটি রোডের উপর এই হোটেলটি জেলাশাসক দফতর ও পুলিশ সুপারের দফতরের থেকে কয়েক মিটার দূরে। কীভাবে এমন ঘটনা সেখানে ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এই ঘটনার পর থেকে ওই যুবকের আর কোনও খোঁজ নেই। জানা গিয়েছে, বর্ধমানের খাগড়াগড় এলাকার বাসিন্দা তিনি। ওই যুবতীর সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হোটেল কর্মীর বক্তব্য, “আমাদের এখানে কোনওদিনই এরকম হয়নি। প্রথমবার এরকম দেখলাম। ওনারা স্বামী স্ত্রী কি না জানি না। আধার কার্ড দেখিয়েছিলেন। ওনারা প্রায়ই আসেন। এক ঘণ্টা থাকেন। গত ৭ তারিখও এসেছিলেন। মে মাসেও এসেছিলেন। এক ঘণ্টা করে থাকেন, বেরিয়ে চলে যান। কিন্তু আজ যে পরিস্থিতি হল ভাবতে পারছি না।” পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।