Burdwan: ‘তিন মাস ধরে চেষ্টা করছি…’, কিন্তু এখনও হাতের বাইরে, একই ওয়ার্ডে আক্রান্ত ১২, বর্ধমানে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি

Burdwan: স্বাস্থ্য দফতরের কড়া নির্দেশ পেয়ে একটি স্কুল ঘরে ফিভার টেস্ট ও রক্ত পরীক্ষার ক্যাম্প করা হয়েছে। ডেঙ্গি আটকাতে ৯৪ জন আশাকর্মী, ২ জন মেডিকেল অফিসার, ১ জন ফার্মাসিস্ট, ২ জন ল্যাব টেকনিশিয়ান, স্টাফ  নার্স ১ জন, ১ জন এএনএম, ১ জন এলডিসি-সহ নির্মল সাথী কর্মীদের নিযুক্ত করা হয়েছে।

Burdwan: তিন মাস ধরে চেষ্টা করছি..., কিন্তু এখনও হাতের বাইরে, একই ওয়ার্ডে আক্রান্ত ১২,  বর্ধমানে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি
লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গিImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 31, 2024 | 5:01 PM

 বর্ধমান: বর্ধমান পৌর এলাকার একই ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্ত ১২ জন। তড়িঘড়ি স্পেশ্যাল ফিভার ক্লিনিক খুলে রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রসিকপুর এলাকায় তিন জনের রক্তে ডেঙ্গি পজিটিভ পাওয়া যায়। এখনও পর্যন্ত মোট ১২ জনের রক্তে ডেঙ্গি পজিটিভের খবর মিলেছে। লাগাতার ডেঙ্গি পজিটিভ হওয়ায় পৌরসভা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি আটকানোর চেষ্টা করছে। এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকদের লিফলেট বিলি করে সচেতন করা হচ্ছে। বাড়িতে জল জমা থেকে নোংরা আবর্জনা সব ক্ষেত্রেই যাতে বাসিন্দারা বিরত থাকেন তার প্রচার চলছে জোরকদমে। প্রচারে পৌরকর্মীরা অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি জোর দেওয়া হয়েছে রক্ত পরীক্ষার উপর।

স্বাস্থ্য দফতরের কড়া নির্দেশ পেয়ে একটি স্কুল ঘরে ফিভার টেস্ট ও রক্ত পরীক্ষার ক্যাম্প করা হয়েছে। ডেঙ্গি আটকাতে ৯৪ জন আশাকর্মী, ২ জন মেডিকেল অফিসার, ১ জন ফার্মাসিস্ট, ২ জন ল্যাব টেকনিশিয়ান, স্টাফ  নার্স ১ জন, ১ জন এএনএম, ১ জন এলডিসি-সহ নির্মল সাথী কর্মীদের নিযুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, এলাকার ড্রেন ও রাস্তাঘাট পরিস্কার পরিচ্ছন্নর দিকে জোর দেওয়া হয়েছে।

বুধবার একটি প্রতিনিধিদল এলাকা পরিদর্শনে যায়। সঙ্গে ছিলেন পৌরপিতা পরেশ চন্দ্র সরকার, বিধায়ক খোকন দাস। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জানুয়ারি মাস থেকে এখন পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক। পৌরপিতা পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন, “আমরা তিন মাস ধরে ডেঙ্গি আটকানোর জন্য সবরকম প্রচেষ্টা নিয়েছি। লিফলেট বিলি, বাড়ি বাড়ি প্রচার তবু দুর্ভাগ্যবশত এই ওয়ার্ডে এখনও পর্যন্ত ১২ জনের রক্তে ডেঙ্গি পজিটিভ মিলেছে। তারপরই পৌরসভা, স্বাস্থ্যদফতর-সহ বিভিন্ন দফতরের কর্মীরা পড়েছেন ডেঙ্গু প্রতিরোধে।”

অন্যদিকে জেলা উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন,  “ওয়ার্ডে ক্যাম্প খুলে রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গি প্রতিরোধে জোরদার প্রচার চলছে এলাকায়।”