
বর্ধমান: বিশেষ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্তের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিরোধীরা আইপ্যাককে কাঠগড়ায় তুলল। বিজেপি ও সিপিএমের অভিযোগ ডাটা এন্ট্রিতেই আসল গলদ লুকিয়ে আছে। তাঁদের দাবি, কারা ডাটা এন্ট্রি করছেন, কারা এই কাজে যুক্ত রয়েছেন, গোটাটাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে। তাঁদের দাবি, ডাটা এন্ট্রি পক্রিয়াকে প্রকাশ্যে এবং সামনে আনার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বিজেপি পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, “শাসকদলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্তাকে দেখা যাচ্ছে। এই নিয়ে তিনি আগে অভিযোগ করেছেন। সুতরাং স্বচ্ছ এস আই আর নিয়ে তাদের সংশয় আছে।” তাঁদের আরও দাবি, তাদের দলের বিএলও ২ গোদা এলাকায় আক্রান্ত হয়। প্রশাসনকে সেই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
সিপিএম নেতা অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গত কয়েক বছরে রাজ্যে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। সুতরাং, বি এল ও রা নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে পারবে না এই নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। বি এল ও রা কার্যত শাসকদলের পদানত হয়ে কাজ করছে।”
কখনও তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে, কখনও তৃণমূল পরিচালিত ক্লাব ঘর থেকে এসআইআরের ফর্ম বিলি ও জমা নেওয়া হচ্ছে বলে তাঁর দাবি। সেই ছবি জেলাশাসককেও পাঠানো হয়েছিল। কোথাও কোথাও জেলাশাসক ব্যবস্থা নিলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জেলা প্রশাসন নবান্নের হুমকির ভয়ে বা রোষানলে পড়তে হবে, সেজন্য অভিযোগ এড়িয়ে গেছে।
তৃণমূল নেতা বাগবুল ইসলাম বলেন, “প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম এসআইআরের কাজ এত অল্প সময়ে করা সম্ভব নয়। প্রশাসন আমাদের দাবি মেনে সময় বাড়িয়েছে। আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি, বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে তৎপর কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তারা নিরপেক্ষ নয়।