রায়না: তিন বছরের শিশুকে গলা টিপে খুন করার অভিযোগ উঠল সৎ বাবার বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের রায়না ১ নম্বর ব্লকের বাজিতপুর এলাকার নলডাঙা গ্রামে। সাড়ে তিন বছরের শিশুটির নাম গোলু হাজরা। অভিযোগ উঠেছে সৎ বাবা সাহেব হাজরার বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নলডাঙার সাহেব হাজরার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল চকচন্দন নিবাসী এক মহিলার। মহিলার এক তিন বছর ছয় মাস বয়সী বাচ্চাও রয়েছে। ঘটনার পর সৎ বাবা সাহেব হাজরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, শিশুটির বাবা সাহেব হাজরা সকালবেলায় ছেলেকে বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে কাছেই একটি জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানেই শিশুটিকে গলা টিপে হত্যা করে। তারপর মৃত শিশুটিকেই কোলে বাড়িতে নিয়ে এসে বলে, তার মৃত্যু হয়েছে।
তখন প্রতিবেশীরা তাঁকে চেপে ধরেন। চাপের মুখে শিশুটির বাবা জানান, শিশুটি নাকি ঘাটে পড়ে যায়। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে শিশুটিকে। শিশুটির মামী কবিতা কর্মকার বলেন, “প্রাতঃকৃত্য করতে শিশুটিকে নিজেই নিয়ে যান সাহেব। আসার সময় কোলে করে নিয়ে আসে। তাতেই সন্দেহ হয়।”
তড়িঘড়ি অচৈতন্য শিশুটিকে আলমপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মাধবডিহি থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে ঘটনাটির তদন্ত করেছে। পরে শিশুটির দেহ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে শিশুটির।
একটি শিশুর এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। আসল অপরাধীকে খুঁজে বার করার দাবি জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।