কাটোয়া: সকালে রান্নাঘরে সবেমাত্র হাড়ি চড়িয়েছিলেন গৃহবধূ। পাশেই বসে ছিল মেয়ে। আচমকাই হুড়মুড়িয়ে দেওয়াল ভেঙে কিছু যেন একটা ঢুকে গেল রান্নাঘরে। ধূলোর ঝড়ে অন্ধকার চারদিক। চারদিকে চিৎকার চেঁচামেচি। হই হই করে লোক ততক্ষণে ঢুকে পড়েছেন বাড়িতে। ততক্ষণে রক্তাক্ত অবস্থায় ধ্বংসস্তূপের মাঝে পড়ে মা-মেয়ে। বালিবোঝাই লরি ঢুকে গেল বসতবাড়িতে। তার আগে সেই লরির ধাক্কাতেই মৃত্যু হয়েছে এক বাইকআরোহীর। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের কেরিলি গ্রামের ঘটনা। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম শেখ সওকত আলি (৫৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বালিবোঝাই লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। তখন ওই বাড়ির গা লাগোয়া একটি দোকানের সামনে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সওকত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই লরিটি প্রথমে সওকতকে পিষে দেয়। তারপরই পাশের বাড়ির দেওয়াল ভেঙে একেবারে ভিতরে ঢুকে যায় লরিটি।
ওই বাড়ির রান্নাঘরে রান্না করছিলেন একজন মহিলা। পাশেই ছিল তার মেয়ে। ঘটনায় গুরুতর আহত হন দুজনেই। তাঁদেরও অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় কলকাতায় স্থানান্তরিত হয়েছে। এই ঘটনার পর দীর্ঘসময় রাস্তা অবরোধ করেন উত্তেজিত মানুষ। তাঁদের দাবি, এই পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন সওকত। পরিবারটিকে আর্থিক সাহায্য করতে হবে। রাস্তায় কয়েকটি ডাম্পার করে দিতে হবে।
প্রশাসনের তরফ থেকেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দা শেখ শামসুজ্জামান বলেন, “বারবার বলেও রাস্তা ঠিক হয়নি। ঘাতক লরির চালক খুব জোরে চালাচ্ছিল। তিনি মদ্যপ ছিলেন বলেও সন্দেহ হচ্ছে। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বিপন্ন পরিবারকে।”