বর্ধমান: আজ, শুক্রবার ওদের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তার আগের রাতেই হোস্টেলে ঢুকে পরীক্ষার্থীদের লাঠি, লোহার রড দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠল বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। এমনকি স্কুলেও চলে বেপরোয়া ভাঙচুর। উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়টি হল এটা, গোটা বিষয়টিরই নাকি নেতৃত্বে ছিলেন এক ‘স্যর’, তিনি হোস্টেলের সুপার। অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। বৃহস্পতিবার রাতে স্কুলেরই সুপারিটেনডেন্টের নেতৃত্বে বহিরাগতরা ঢুকে পড়ুয়াদের মারধর করে বলে অভিযোগ। তাঁদের লাঠি, রড দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ছাত্রদের ।
ঘটনায় আহত হয়েছে ১৫-২০ জন পড়ুয়া। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই আঘাত গুরুতর বলে জানা গিয়েছে।
মেমারি দুর্গাডাঙায় আল আমিন মিশনের ঘটনা। এখানে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্ররা থেকে পড়াশুনা করে। পড়ুয়াদের বক্তব্য, বেশ কয়েকদিন ধরেই কর্তৃপক্ষের কাছে নিম্নমানের খাবার দেওয়ার প্রতিবাদ জানাচ্ছিল তারা। সঙ্গে ছিল বেশ কিছু দাবিদাওয়ায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাবেলায়ও তারা আল আমিন মিশন অ্যাকাডেমির মেমারি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার হাসিবুল রহমান আলমের কাছে যায়। অভিযোগ, পড়ুয়ারা দাবি জানাতে গেলে সুপার ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের ডেকে এনে তাণ্ডব চালান।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, সুপার ফোন করে লোক ডেকে আনে। বাইরে থেকে ক্যাম্পাসে হঠাৎ একদল লোক বাঁশ, লোহার রড নিয়ে ঢুকে হামলা চালায়। হোস্টেলে ও স্কুলেও ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনাস্থলে যায় মেমারি থানার পুলিশ।
ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেমারি থানার পুলিশ। এক ছাত্র বলেন, “আমরা আবাসিক। কিন্তু আমাদের এখানে আবাসিক। প্রত্যেক মাসে ৮-১০ হাজার করে দিই আমরা সবাই। কিন্তু এখানে আমাদের কোনও সুবিধা নেই। এখানে নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। পড়াশোনার কোনও সুব্যবস্থা নেই। আমরা এই দাবিগুলোই জানিয়ে আসছিলাম। প্রতিবাদ করাতে একটা তালিকা তৈরি করে জানিয়ে দেওয়া হয় ৭০-৮০ জনকে বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। আমরা সবাই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। কেন এমন সিদ্ধান্ত, এমনটা জানতে গেলেই এই ঘটনা ঘটান স্যর।” এ ব্যাপারে আল আমিন মিশনের সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
আরও পড়ুন: Weather Update: আজ কোন কোন জেলায় বৃষ্টি? জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর