
বর্ধমান: সরকারি সভায় যোগ দিতে এসে শাসকদলের পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দলবল নিয়ে মারধর করেছেন দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যা ও তার পরিবারের সদস্যদের। এই মারাত্মক অভিযোগ নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ২ ব্লকের রুকাশপুর গ্রামের পিঙ্কি মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, মেমারি থানা ও ফাঁড়িতে গেলে অভিযোগ নেয়নি পুলিশ। বাধ্য হয়ে বুধবার পুলিশ সুপার অফিসে এসে দাবি জানিয়ে আবেদন করলেন মেমারি ২ ব্লকের, বোহার ১ পঞ্চায়েত সদস্যা।
মহিলা সদস্যা পিঙ্কি মণ্ডলের অভিযোগ, রুকাশপুর গ্রামে একটি স্কুলে কাজকর্ম নিয়ে ঠিকাদারদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের বচসা হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ হচ্ছিল। এই নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধ্বস্তাধস্তি হয়।
পঞ্চায়েত সদস্যা ও তার ভাসুর তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী রাজকুমার মণ্ডলের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার গ্রামের সমস্যা নিয়ে বিডিও অফিসে তাদের ডাকা হয়। ভালভাবে আলোচনায় সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল।
অভিযোগ, আলোচনা শেষে মেমারি ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ গফফার মল্লিক তার দলবল নিয়ে তাঁদের উপর চড়াও হন। লাঠি দিয়ে তাঁদের মারা হয়। পিঙ্কি মণ্ডল, তাঁর স্বামী পল্লবকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁদের বাঁচাতে এলে মারধর করা হয় রাজকুমারকেও। এমনকি সদস্যার কোলে থাকা তিন বছরের শিশু সন্তানকে আক্রমণকারীরা ছুড়ে ফেলেন।
অভিযোগ, এই ঘটনার সময় বিডিও,জয়েন্ট বিডিও ও পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ অফিসেই ছিলেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, তারা যেহেতু তপশিলি জাতিভুক্ত তাই তাদের জাতি উল্লেখ করেও গালিগালাজ করা হয়। এমনকি খুন করার হুমকি দেওয়া হয়।
এরপর এই ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, দায়িত্বে থাকা অফিসার অভিযোগ নেননি।দলেরই নেতার হাতে মার খেয়ে তাই শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যা দ্বারস্থ হন জেলা পুলিশ সুপারের। বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি গফফার মল্লিকের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি।