কালনা: সামনে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election) । তার মধ্যেই জোর চাঞ্চল্য এবার কালনায় (kalna)। তৃণমূলের বিভিন্ন পদে রয়েছেন ভিলেজ পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়াররা। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। ভোটের সময় এই ভলান্টিয়ারদের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে তারা। যা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। যদিও, ঘাসফুল শিবিরের বক্তব্য সিভিক বা ভিলেজ পুলিশ ডিউটির সময়ের পরে রাজনীতি করতেই পারে।
পূর্ব বর্ধমানের কালনা ২ নম্বর ব্লক। সেখানে সদ্য প্রকাশিত হয়েছে তৃণমূল জেলা যুব কমিটি ও তৃণমূল ব্লক কমিটির তালিকা। সেই তালিকা সামনে আসতেই শুরু শোরগোল। লিস্টে দেখা যাচ্ছে, কালনা ২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলের দায়িত্বে এলাকার তিন সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁরা হলেন সৈকত পুজারি, সঞ্জয় ঘোষ ও রেজাউল মণ্ডল। এছাড়াও তালিকায় একজন ভিলেজ পুলিশের নাম লক্ষ্য করা গিয়েছে। তিনি হলেন সৌভিক ঘোষ। এই তিন সিভিক ভলান্টিয়ার আবার কালনা থানার অধীনে কর্মরত। বাকি একজন আবার কালনা থানার অধীনে থেকে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে কর্মরত।
সিভিক ভলান্টায়ার সৈকত পুজারি বলেন, “ডিউটির পরে রাজনীতি করতেই পারি। দল আমাকে চাকরি দিয়েছে।” কালনা ২ নম্বর ব্লকের বৈদ্যপুর অঞ্চলের যুব সভাপতির দায়িত্বে থাকা আর এক সিভিক সঞ্জয় ঘোষ বাড়িতে না থাকলেও তাঁর পরিবারের থেকে জানানো হয় তিনি সিভিকের কাজ করে তারপর দল করেন। তবে ভিলেজ পুলিশ সৌভিক ঘোষ বিষয়টি এড়িয়ে বলেন, “আমি জানি না আমার নামে তৃণমূলে কোনও পদ আছে কি না। খোঁজ নেব।”
এই বিষয়ে কালনার ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি প্রণব রায় বলেন, “এরা তো বেতন পায় না। বেতন পেলে এরা ১২ হাজার ১৪ হাজার টাকায় চাকরি পেতেন না। ওরা ভলান্টিয়ারি সার্ভিস দেয়। আর সেই সার্ভিসের জন্য সরকার কিছু মজুরি দেয়। এক্ষেত্রে আইনগত ভাবে কোনও বাধা আছে বলে মনে হয় না। আসলে পঞ্চায়েতের আগে বিজেপি চাইছে জলঘোলা করতে। ” পাল্টা বিজেপির বক্তব্য সিভিক বা ভিলেজ পুলিশ গ্রামে গ্রামে টিকটিকির কাজ করে।পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও সিভিক বা ভিলেজ পুলিশদের পঞ্চায়েতের কাজে না লাগানোর দাবি তুলছে গেরুয়া শিবির। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে জানাবে বলেও জানিয়েছে বিজেপি।