কালনা : যৌনপল্লীতে গিয়ে দাদাগিরির অভিযোগ দুই তৃণমূল কাউন্সিলরের (Trinamool Councillor) বিরুদ্ধে। দুর্বার সমিতির অফিস বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা, সংস্থার কর্মীদের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে বর্ধমানের (Bardhaman) কালনার দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। থানায় দায়ের অভিযোগ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। ঘটনার মূল সূত্রপাত দিন তিনেক আগে। সূত্রের খবর, তিন দিন আগে কালনার যৌনপল্লীর এক যৌনকর্মীকে বর্ধামানে ঘুরতে নিয়ে যান রেজাউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। রেজাউলের বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগ, বর্ধমানে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন রেজাউল। ঘটনার পরেই বর্ধমানের মহিলা থানার দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। দায়ের হয় অভিযোগ। কালনা থেকে রেজাউলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, রেজাউলের সঙ্গে ভালই পরিচয় রয়েছে কালনার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমরজিৎ হালদার ও কাউন্সিলর সুনীল চৌধুরীর।
এদিন সমরজিৎ ও সুনীল দুজনে মিলে কালনার যৌনপল্লীতে যান। সেখানে গিয়ে নির্যাতিতার পরিচয়পত্র চান। তাঁর বিষয়ে খোঁজ-খবর শুরু করেন দুর্বার সমিতির সদস্যদের কাছে। কিন্তু, দুর্বারের সদস্যরা সাফ জানিয়ে দেন যৌনকর্মীদের পরিচয় গোপনীয়তার স্বার্থে তাঁরা কিছুতেই সামনে আনতে পারবেন না। যদি মামলার স্বার্থে আদালত কিছু জানতে চায় তবে তাঁরা জানাবেন। অভিযোগ, এ কথা শোনা মাত্রই ক্ষেপে যান দুই তৃণমূল কাউন্সিলর। দলবল নিয়ে এসে দাপিয়ে বেড়াল গোটা এলাকা। দুর্বারের অফিস তুলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। দেওয়া হয় আরও নানা অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে ভয়ে তটস্থ যৌনপল্লীর কর্মীরা। চাপানউতর চলছে গোটা এলাকায়। দুই কাউন্সিলরের নামে ইতিমধ্যে থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে থানায়। যদিও এ ঘটনায় এখনও কাউকে কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। ঘটনায় কাউন্সিলর সুনীল চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও ফোনে ধরা গিয়েছে তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমরজিৎ হালদারকে। সেখানেই তিনি স্পষ্ট দাবি করেছেন যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁর দাবি, রাজনৈতিকভাবে তাঁকে ফাসানো হচ্ছে। সে কারণেই এ ধরনের অভিযোগ তোলা হচ্ছে।