Coromandel Express derailed: কামরা থেকে টেনে-হিঁচড়ে ছেলেকে বের করলেন বাবা, ততক্ষণে সব শেষ
Coromandel Express derailed: পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার ওই পরিবারে কান্নার রোল। পরিজনেরা জানিয়েছেন, বাবা ও ছেলে একসঙ্গেই বেরিয়ে ছিলেন বাড়ি থেকে।
কাটোয়া: বাড়ির ছোট ছেলেটা আর ফিরবে না কোনওদিন, এই সত্যিটা যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না সর্দার পরিবার। বাবার সঙ্গে কাজ করতে যাবে কিছু রোজগারের আশায়, এই স্বপ্ন নিয়ে শুক্রবার সকালেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ছোট্ট সর্দার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এল দুঃসংবাদ। বেলাইন হওয়া ট্রেনটা যখন দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে, তখন নিজের প্রাণের তোয়াক্কা না করে ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন বাবা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ছেলের নিথর দেহই বের করেন তিনি। এরপরই খবর পৌঁছয় বাড়িতে।
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার ওই পরিবারে কান্নার রোল। পরিজনেরা জানিয়েছেন, বাবা ও ছেলে একসঙ্গেই বেরিয়ে ছিলেন বাড়ি থেকে। কেরল যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। করমণ্ডল এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন ট্রেনে। সকালে বাবা ফোন করে বাড়িতে জানান তাঁর ১৮ বছরের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ছেলের নাম ছোট্ট সর্দার। ওই যুবকের জ্যেঠি দুধ কুমার সর্দার জানান, তাঁর ভাই ও ভাইপো কাজের সূত্রেই কেরল যাচ্ছিলেন। তাঁর ভাই সকালে ফোন করে খবরটা দেন।
কাটোয়া থানা এলাকার এই গ্রাম থেকে আরও ১০ জন রাজমিস্ত্রির কাজের জন্য কেরলের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। প্রত্যেকেই ছিলেন ওই করমণ্ডল এক্সপ্রেসে। দুজনের খোঁজ পাওয়া গেলেও বাকি সাতজনের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। উদ্বেগ নিয়ে প্রহর গুনছে গ্রামের একাধিক পরিবার।
শুধু কোটায়া নয়, এ রাজ্যের একাধিক পরিবারেই একই ছবি। অনেকে ইতিমধ্যেই খারাপ খবর পেয়েছেন। আবার কেউ কোনও সন্ধান না পেয়ে উৎকন্ঠায় প্রহর গুনছেন।