বর্ধমান: রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন সফিক কাজি। বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও রয়েছে চার বছরের ছোট্ট সন্তান। পেটের তাগিদে আর সংসার চালাতে যাচ্ছিলেন চেন্নাই। উঠেছিলেন অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে। সফিকের স্ত্রী বলছেন, দুপুর সাড়ে তিনটের সময়ও ভিডিয়ো কলে কথা হয়েছে। আর তারপর সবটা শেষ…
মৃত সফিকের বয়স ২৫। বাড়ি বর্ধমানের বড়শুলের কুমীরকোলা গ্রামে। শুক্রবার সন্ধ্যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার ভোরে সফিকের খোঁজে বাড়ি থেকে রওনা দেন দাদা বাবু কাজি। পরে জানতে পারেন তাঁর ভাই আর নেই। এরপর বিভিন্ন জায়গা ঘুরে হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহের স্তুপের মধ্যে থেকে ভাইয়ের নিথর দেহ খুঁজে বের করেন।
পরিবার সূত্রে খবর, সফিক আর তাঁর বন্ধু নূর মহম্মদ ওই দিন চেন্নাই যাচ্ছিলেন জোগাড়ের কাজের জন্য। দুর্ঘটনার পর থেকেই সফিকের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার বিকেলে তাঁর দাদা পরিবারকে জানায় যে সফিক মারা গিয়েছেন। অন্যদিকে নূর গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।রবিবার সকাল থেকেই বাড়িতে ভিড় করেছেন প্রতিবেশীরা। সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে স্থানীয় প্রশাসনও। বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম যান সেখানে।
মৃতের দাদা বাবু কাজি বলেন, “চূড়ান্ত অব্যবস্থা ওখানে। এলাকার বিভিন্ন স্কুল ঘরে সারি সারি লাশ পড়ে আছে। তার মধ্যে খুঁজতে হচ্ছে।” বাবু কাজি অভিযোগ করে বলেন যে, আহতদের ঠিক মত চিকিৎসা হচ্ছে না ওইখানে।