বর্ধমান: ৩১ অগস্ট বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বর্ধমানে। কার্জন গেট চত্বর কার্যত রণক্ষেত্রের আকার নিয়েছিল। ওই দিনের ঘটনায় কার্জন গেট চত্বরে তৃণমূলের বিধায়ক খোকন দাসের অফিসে হামলা ও ভাঙচুরও চলেছিল বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সিপিএম-এর বহু নেতা-কর্মী। মঙ্গলবার সিজেএম আদালত সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী, এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরী সহ আরও ৩১ জনের শর্তসাপেক্ষ জামিন মঞ্জুর করে। মঙ্গলবার, বর্ধমান সংশোধনাগার থেকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল বাম নেতা ও কর্মীদের। তাঁদের আইনজীবীরা বাম নেতা-কর্মীদের জামিনের জন্য সওয়াল করেছিলেন। অন্যদিকে সরকারি আইনজীবী আবার জামিনের বিরোধিতা করেছিলেন। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক শর্ত সাপেক্ষে বাম নেতা-কর্মীদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
প্রতি সপ্তাহে দুই দিন করে তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দিতে হবে। আগাম অনুমতি ছাড়া আদালতের এলাকা ছাড়া যাবে না। সেই সঙ্গে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। এই সব শর্তে গ্রেফতার হওয়া বাম নেতা ও কর্মীদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন সিজেএম আদালতের বিচারক চন্দা হাসমত। এর পাশাপাশি শর্ত লঙ্ঘন করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪৩৭(৫) ধারা অনুযায়ী জামিন বাতিলের প্রক্রিয়াও কার্যকর করা হবে বলে, মঙ্গলবার জানিয়েছেন বিচারক।
উল্লেখ্য, ৩১ অগস্ট বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। উত্তেজিত আন্দোলনকারীদের সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছিল পুলিশকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। জলকামান চালান। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। অন্যদিকে বিক্ষুব্ধ বাম কর্মী সমর্থকদের একাংশ কার্জন গেট চত্বর থেকে বিশ্ব বাংলার লোগো উপড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। সেদিনের ঘটনায় ৪৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।