Purba Bardhaman: রাতেই ঝলসে গিয়েছে দেহ, সকাল বেলায় মহিলার দগ্ধ দেহ দেখে শিউরে উঠছেন এলাকাবাসী
Women's Death: দেহটি প্রথম দেখতে পায় এক কিশোর।
পূর্ব বর্ধমান:সকাল বেলাই উদ্ধার দগ্ধ এক মহিলার মৃতদেহ। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার হৈবতপুরে।পুলিশে এসে দেহটি উদ্ধার করে।
জানা গিয়েছে, এই দেহটি প্রথম দেখতে পায় এক কিশোর। মৃতদেহটি সম্ভবত কোনও মহিলার। বেশিরকম পুড়ে যাওয়ায় বোঝা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
জানা গিয়েছে, একটি দেহকে পুড়তে দেখে ওই কিশোর। এরপরই ভয় পেয়ে যায় সে। গ্রামে খবর দিলে ভিড় জমে যায়। এলাকার মানুষ দলে দলে ভিড় করেন সেখানে। থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে।তদন্ত শুরু করেছে জামালপুর থানার পুলিশ।
গ্রামবাসীদের ধারণা মৃতদেহ এক মহিলার। তিনি বিবাহিতা। শরীরে শাখা, সিঁদুর সব ছিল। তাঁদের অনুমান, বাইরে থেকে দেহ এনে এখানে পোড়ানো হয়েছে রাতের অন্ধকারে। জায়গাটি নির্জন হওয়ায় কেউ টের পায়নি।
স্থানীয় ওই কিশোর জানায়, “আমি সকালবেলা হাঁটতে বেরিয়েছিলাম। সেই সময় এক প্রকার দুর্গন্ধ আমার নাকে আসে। দুর্গন্ধ পেয়েই আমি ঘটনাস্থানে পৌঁছাই। তখন দেখি কিছু পুড়ে যাচ্ছে। আরও একটু এগোতেই বুঝতে পারি ওই পোড়া জিনিসটি আসলে মৃতদেহ।”
প্রসঙ্গত, গত ২৭ অক্টোবর সকালে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু তখনও পর্যন্ত ওই যুবকের নাম,পরিচয়, ঠিকানা কোনও কিছুই ঠিকমতো জানা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কিন্তু তদন্ত চালিয়ে যায় পুলিশ(Police)। এরপর সন্ধের মধ্যেই জানা গেল ওই যুবকের যথার্থ পরিচয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের নাম জয়দেব শীল। বছর ৩৫। তাঁর বাড়ি মালদার ইংরেজবাজার থানার (English Bazar) থানার কোঠাবাড়ি এলাকায়। মৃত যুবক পেশায় সেলুন ব্যবসায়ী।
মৃতদেহের পকেট থেকে ছোটন হালদার নামে এক ব্যক্তির আধার কার্ড উদ্ধার হয়। ছোটন হালদারের স্ত্রী জানান, গতকাল লোন নেওয়ার জন্য তার স্বামীর আধার কার্ড জয়দেবকে দিয়েছিল। তারপরে সকালে শুনতে পায় এই ঘটনা ঘটেছে। ছোটন বর্তমানের পুরাতন মালদার একটি বেকারিতে কাজে যুক্ত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: Corona Outbreak: ভয় ধরাচ্ছে মৃত্যু, দেশে ফের করোনার বলি ৫২৬