
বর্ধমান: বালি ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতেই শুরু হয় তদন্ত। নিজেকে ইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে যা কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন, তাতে হতবাক তদন্তকারীরা। গ্রামের লোকজন জানাচ্ছেন, কিছুদিন আগেও মাটির বাড়িতে থাকতেন জিন্না। আর এখন গড়ে ফেলেছেন বিশাল বাড়ি। গ্রামবাসীরা বলছেন, ‘আর কয়েক বছর গেলে জিন্না তো গোটা গ্রামই কিনে নিত।’
বুধবার সকাল থেকে ম্যারাথন তল্লাশির পর বেরিয়ে গেলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। এদিন সকাল ৬ টায় তিন ইডি আধিকারিক ও ১৪ জনের কেন্দ্রীয় বাহিনী ভর্তি ৪টি গাড়ি পৌঁছয় পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার ক্ষেমতা গ্রামে। শেখ জিন্নার আলির বাড়িতে চলে তল্লাশি।
এদিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ইডি আধিকারিকরা দিনভর তল্লাশি শেষে বেরিয়ে যান। তাঁরা বেশ কয়েকটি ফাইল বাজেয়াপ্ত করেন বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি জিন্নার একটি চারচাকা গাড়িও বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারী ইডি আধিকারিকরা। গ্রামের বাসিন্দারা এদিন শেখ জিন্নাকে নিয়ে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁরা বলেন, ‘সামান্য একটি মাটির ঘর ছিল। গত কয়েক বছরে বিশাল বাড়ি তৈরি করে। পাশাপাশি তার বর্তমানে প্রচুর জমিজমা। আর কয়েক বছর গেলে জিন্না তো গোটা গ্রামই কিনে নিত।’
ইডি অফিসার সেজে দেড় কোটি টাকার প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে জিন্নার বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, ন্যাশনাল এন্টি ট্রাফিকিং কমিটির চেয়ারম্যান শেখ জিন্না আলির বিরুদ্ধে ওই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। তিনি নিজেকে সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে এক বালি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা আদায় করেছেন। শুধু তাই নয়, অভিযোগকারী বালি ব্যবসায়ীর দাবি, শেখ জিন্নার একাধিকবার তাঁকে হুমকি দিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বাধ্য করার চেষ্টা করেন।