SIR in Bengal: বাবার জায়গায় শ্বশুরের নাম, খসড়া তালিকা দেখে আতঙ্কেই আত্মঘাতী প্রৌঢ়! দাবি পরিবারের

SIR: এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হতেই খবর যায় পুলিশে। বাড়িতে যায় আউশগ্রাম থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পাশাপাশি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে শুরু হয়েছে তদন্ত। মৃতের ছেলে উল্লাস মুখোপাধ্যায় বলেন, একাধিকবার নাম সংশোধনের আবেদন করা হলেও তা কার্যকর না হওয়ায় হতাশা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল তাঁর বাবার।

SIR in Bengal: বাবার জায়গায় শ্বশুরের নাম, খসড়া তালিকা দেখে আতঙ্কেই আত্মঘাতী প্রৌঢ়! দাবি পরিবারের
শোকের ছায়া পরিবারে Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Dec 20, 2025 | 6:24 PM

আউশগ্রাম: সামনে এসেছে খসড়া তালিকা। তা নিয়ে চাপানউতোর চলছে। এরইমধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ফের আত্মহত্যার ঘটনা। ফের জুড়ে গেল এসআইআর আতঙ্কের তত্ত্ব। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, নথিতে ভুল থাকায় দেশ ছাড়া হওয়ার আতঙ্কেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ভাস্কর মুখোপাধ্য়ায় নামে ৫৩ বছরের ওই প্রৌঢ়। তাঁর আদি বাড়ি হুগলির চন্দননগরে হলেও বর্তমানে তিনি আউশগ্রামের কল্যাণপুরে থাকতেন। তাঁর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করেই চাপানউতোর তৈরি হয়েছে এলাকায়। 

মৃতের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ভাস্করবাবুর ভোটার কার্ডে তাঁর বাবার নাম পঞ্চানন মুখোপাধ্য়ায়ের জায়গায় তাঁর শ্বশুর সুবিমল মুখোপাধ্যায়ের নাম আসে। অভিযোগ, বারবার নাম নাম পরিবর্তনের চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। খসড়া তালিকাতেও সেই নামই রয়ে যায়। এখন হিয়ারিংয়ে ডাক পেলে তিনি কী বলবেন তা নিয়েই আতঙ্কে ছিলেন। এই বয়সে দেশ ছাড়া হওয়ার আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছিল তাঁর মনে। সে কারণেই এই চরম সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন পরিবারের সদস্যরা। 

এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হতেই খবর যায় পুলিশে। বাড়িতে যায় আউশগ্রাম থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পাশাপাশি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে শুরু হয়েছে তদন্ত। মৃতের ছেলে উল্লাস মুখোপাধ্যায় বলেন, একাধিকবার নাম সংশোধনের আবেদন করা হলেও তা কার্যকর না হওয়ায় হতাশা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল তাঁর বাবার। মানসিক চাপেও ছিলেন। অন্যদিকে মৃতের শ্বশুর সুবিমল সরকারও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলছেন, সংশ্লিষ্ট দফতরে বারবার আবেদন করা হলেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। 

ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে তরজা। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবু টুডু বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলছেন, বিজেপি। বাংলার মানুষের মৃত্যু হলেও ওদের কিছু যায় আসে না। অন্যদিকে বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় পাল্টা বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম থেকেই চাইছিল এসআইআর যেন না হয়। তাই এখন এসব বলছে।