
কাটোয়া: জলে ডুবে গিয়েছে ফসল। বিঘার পর বিঘা জমির দিকে তাকানো যাচ্ছে না। ভরা জলে ভাসছে ফসল। যদি কিছুটা বাঁচানো যায়! চলছে মরিয়া চেষ্টা। ধান, তিল, পাট সহ সব ফসলেরই একই অবস্থা। জমির দিকে তাকিয়ে চোখে জল আসছে কৃষকদের।
পূর্ব বর্ধমান জেলার বিস্তীর্ণ অংশে একই ছবি। কেউ নৌকায়, কেউ বড় কড়াইতে তোলার চেষ্টা করছেন সেই ফসল। কাটোয়া ১ ও ২ নম্বর ব্লকের কয়েকটি গ্রামের বিঘার পর বিঘা জমির পাকা ধান, তিল, পাট সবই জলের তলায়। দিনকয়েক আগের বৃষ্টিতে খড়ি ও ব্রম্ভানি নদীর জল উপচে ভেসে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা জমি। ঋণ নিয়ে বা জমানো টাকা দিয়ে যারা চাষ করেছেন, তাদের কী হবে এবার!
কৃষি অধিকর্তা অমর মণ্ডল জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে নদীর জল বেড়ে গিয়ে এই বিপত্তি ঘটেছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় নদীর জলে চাষের জমি জলমগ্ন হয়েছে। ভিজিটে পাঠানো হচ্ছে, রিপোর্ট পেলে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের শিলা, রোন্ডা, কুয়ারাডাঙা গ্রাম দিয়ে বয়ে গিয়েছে খড়ি নদী। কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের আলমপুর, গাফুল, গুসুম্বা গ্রামের বিঘার পর বিঘা চাষের জমি জলের তলায়। দিন কয়েকের মধ্যেই পাকা ধান কাটা শুরু হওয়ার কথা ছিল, তার আগেই এই বিপত্তি।
আপাতত হাঁটু সমান জল পেরিয়ে জলে থাকা ধান কেটে কেউ নৌকায়, কেউ কলার ভেলায় বা বড় কড়াইতে তুলছে। যদিও অধিকাংশ পাকা ধান জলের তলায় থাকায় তা হয়ত আর ব্যবহার করাই যাবে না। গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে কাজে লাগানো হবে বলে জানাচ্ছেন কৃষকরা।