বর্ধমান: অ্যাম্বুলেন্সের দেখা নেই, রাস্তার অবস্থাও বেহাল, এরইমধ্যে খাটিয়াতে শুইয়ে রোগীকে নিয়ে যাচ্ছে হাসপাতালে। একদিন আগে এই ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছে মালদায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও প্রাণে বাঁচানো যায়নি গোবিন্দপুর- মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মালডাঙা গ্রামের বাসিন্দা মামনি রায়কে। এই ছবি সামনে আসতেই শুক্রবার থেকেই জেলার প্রশাসনিক মহলে শুরু হয়েছে জোর শোরগোল। রাজনৈতিক মহলেও চলছে জোর চর্চা। যদিও মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর দাবি, খারাপ রাস্তা নয়, মামনির মৃত্যুর জন্য দায়ী তাঁর ভাগ্য। ভাগ্যে ছিল সে কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর এই মন্তব্যে শুরু হয়ে গিয়েছে জোরদার বিতর্ক।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন মালডাঙা গ্রামের গৃহবধূ মামনি রায়। একদিন আগে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজ শুরু করেন পরিবারের লোকজন। অভিযোগ, এলাকার রাস্তা এতই খারাপ যে গ্রামে আসতে পারেনি কোনও অ্যাম্বুলেন্সই। এদিকে ততক্ষণে আরও খারাপ হতে শুরু করেছে মামনি দেবীর অবস্থা। উপায় না দেখে খাটিয়াতে শুইয়েই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের লোকজন। যে ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই নানা জায়গায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
এ বিষয়ে গ্রন্থাগার দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “একশোর মধ্য়ে একজনের অবস্থা যদি এরকম হয় তাহলে ৯৯ টাকে খারাপ কেন বলব? হাতে যদি কোনও সমস্যা হয় তাহলে কী বলব মাথা খারাপ হয়েছে? আমাদের কাছে লিখলে বললে রাস্তা সারিয়ে দেব। ওর ভাগ্যে ছিল তাই মারা গিয়েছে। রাস্তার জন্য মারা যায়নি।” এদিন বর্ধমানের কার্জন গেটে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের পথসভায় এসেছিলেন মন্ত্রী। সেখানেই এই মন্তব্য করেন তিনি।