কাটোয়া: ভয়ঙ্কর কাণ্ড! শাড়ির দোকানে মারধর মহিলা চিকিৎসককে। ফাটল মাথা, মুচড়ে কালশিটে ফেলে দেওয়া হল আঙুলে। বর্ধমানের কাটোয়ায় শাড়ির দোকানে কেনাকাটা করতে গিয়ে আক্রান্ত মহিলা চিকিৎসক। দোকানের মালিকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ উঠল। ওই মহিলা চিকিৎসককে মেরে আঙুল ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। চোট লেগেছে মাথায়। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই মহিলা চিকিৎসক। কাটোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দোকানের মালিকও মারধরের ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক সোফিয়া তাখেলারবাম। তিনি কাটোয়া হাসপাতালের আয়ুর্বেদ চিকিৎসক। কয়েকদিন আগে স্টেশন রোডে একটি শাড়ির দোকান থেকে বেশ কিছু শাড়ি ও ব্লাউজ কেনেন। বুধবার দুপুরে দুটি ব্লাউজ পাল্টাতে গেলে, তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
চিকিৎসকের অভিযোগ, পোশাক বদলের জন্য দোকান মালিকের অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময়ই তাঁর উপরে চড়াও হয় দোকান মালিকের স্ত্রী নয়নমণি বৈরাগ্য। তিনি চিকিৎসককে গালিগালাজ করতে এবং মারতে শুরু করেন। দোকানের মধ্যেই ফেলে চলে চর, লাথি, ঘুষি। ওই চিকিৎসকের হাত মুচড়িয়ে একটি আঙ্গুলও ভেঙ্গে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
পরে পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে উদ্ধার করেন আহত চিকিৎসককে। তাঁকে নিয়ে আসে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন চিকিৎসক। তাঁর একটি আঙুল ভেঙে গিয়েছে, মাথায় চোট লেগেছে। ওই চিকিৎসকের স্বামী কাটোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, “এমন ঘটনা ঘটতে পারে, আমি তো কল্পনাও করতে পারছি না। এমনভাবে আমার স্ত্রীকে মেরেছে যে আঙুলে কালশিটে পড়ে গিয়েছে, মাথায়, চোখে মেরেছে। চশমা ভেঙে গিয়েছে। চশমাটা না থাকলে আরও বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারত।”
এদিকে, দোকানের মালিক পুরো বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “আমি তো এসে শুনছি যে এমন ঘটনাটি ঘটেছে। অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। এর জন্য আমি দুঃখিত। আমি ম্যাডাম ও তাঁর স্বামীর কাছে ক্ষমা চাইছি। কোনও কারণে হয়তো এমন ঘটনা ঘটেছে। আমি সবার কাছে ক্ষমা চাইছি।”