বর্ধমান: বেঙ্গালুরুতে জিএনএম এবং এএনএম অর্থাৎ নার্সিংয়ের কোর্সে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ। পুলিশের জালে কালনা ২নম্বর ব্লকের বৈদ্যপুর এলাকার এক ব্যক্তি। ধৃতের নাম অভিরূপ ঘোষ। ২০২১ সাল থেকে লাগাতার প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি স্বরাজ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, কিছুদিন আগেই তাঁর কাছে বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী আসেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, বৈদ্যপুর এলাকায় একটি সংস্থার বিজ্ঞাপন দেখে তাঁরা জিএনএম এবং এএনএম কোর্সে পড়ার জন্য হাজির হন। ২লক্ষ ৬০ হাজার থেকে ৩ লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন কোর্সের জন্য তাঁদের সঙ্গে চুক্তি হয়। অভিরূপ ঘোষ তাঁদের বেঙ্গালুরুতে একটি কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দফায় দফায় টাকা নেন বলে অভিযোগ।
প্রতারিতরা জানান, গত ১ বছর ধরে তাঁদের রেজিষ্টেশনও হয়নি,পরীক্ষাও হয়নি। এরপরই তাঁরা বুঝতে পারেন প্রতারিত হয়েছেন। এরপরই তাঁরা যোগাযোগ করেন জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতির সঙ্গে। তাঁর কাছে নিয়ে আসা হয় অভিরূপ ঘোষকে।
উল্লেখ্য, ছাত্রছাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, কিছুদিন আগেই বেঙ্গালুরু অভিরূপ ঘোষকে এই কারণেই গ্রেফতার করা হয়। এমনকি সেখানে ছাত্রীরা তাঁকে মারধরও করেন। তারপরও তিনি এই চক্র চালিয়ে যাচ্ছিলেন। শুধু তাইই নয়, স্বরাজ ঘোষ জানিয়েছেন, অভিরূপ ঘোষ ছাত্রছাত্রীদের অরিজিনাল সার্টিফিকেটগুলিও নিয়ে রেখেছেন। তা ফেরত দিচ্ছেন না। কেউ কেউ সার্টিফিকেট ফেরত চাইলে, তাঁদের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই এক ছাত্র ১৫ হাজার টাকা দেওয়ায় তাকে সার্টিফিকেট ফেরত দেওয়া হয়।
যদিও অভিরূপের বক্তব্য, তিনি পরিস্থিতির শিকার হয়ে পড়েছেন। অনেকদিন ধরেই তিনি এই এডুকেশন কনসালট্যান্টের কাজ করছেন। কোনও অভিযোগ হয়নি। কর্ণাটকের ওই কলেজের জন্যই তিনি প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত হয়ে পড়েছেন।
জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি স্বরাজ ঘোষের অভিযোগ পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ আটক করেছে অভিরূপ ঘোষকে।