
পূর্বস্থলী: পেটের টানে রাজস্থানে গিয়েছিলেন ওঁরা। কিন্তু পরিবারে নেমে এল ভয়ঙ্কর বিপদ। জয়পুরের সুভাষ চকে একটি বিল্ডিং ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল বাবা ও মেয়ের। মা গুরুতর অসুস্থ। মৃতের নাম প্রভাত বাগদি। বয়স ৩১ বছর। মেয়ের পিউ বাগদি। বয়স পাঁচ। আহত অবস্থায় রয়েছেন সুমিত্রা বাগদি।
জানা গিয়েছে, দশ বছর ধরে বাগদি পরিবার রাজস্থানে সোনা-রুপোর কারিগরের কাজ করে। শনিবার সকালে পরিবারের কাছে এসে পৌঁছয় মর্মান্তিক খবর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পূর্বস্থলীর উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। মৃতের মায়ের অভিযোগ, এখানে কাজ থাকলে ছেলেকে বাইরে যেতে হত না। এখানে রোজগার নেই বলেই আজ ছেলে ও তাঁর পুরো পরিবার বাইরে। শুধু একটা পরিবার নয় এই গ্রামের শতাধিক পরিবার তাঁরা বাইরে কর্মরত। মৃতের বৌদি বলেন, “এখানে কাজ নেই। কী করে পেট চলবে। কাজ থাকলে কি বাইরে যেত? বাড়ি পাইনি। একশো দিনের কাজ পাইনি। মানুষ চিনে চিনে কাজ দেয়। মানুষ দেখে দেখে ওরা বাড়ি দেয়।”
পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য আজকে এ রাজ্যের মানুষজন বাইরে।” পাল্টা বিজেপির মণ্ডল প্রেসিডেন্ট প্রহ্লাদ ঘোষ বলেন, “এ রাজ্যে কোনও কর্মসংস্থান নেই মানুষজনের রোজগার নেই দেউলিয়া অবস্থা সরকারের সে কারণেই মানুষজন বাইরে যেতে বাধ্য হচ্ছে।” বস্তুত, রাজ্যজুড়ে বাঙালি অস্মিতা নিয়ে সরব তৃণমূল। ইতিমধ্যে ভাষা আন্দেলনও শুরু করেছে তারা। ভিন রাজ্যে বাংলা কথা বলায় বাঙালিদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এই আবহে ভোটের আগে যখন উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি সেই সময়ের মধ্যেই ঘটল এই মর্মান্তিক ঘটনা।