কালনা: প্রাইমারি স্কুলের এক শিক্ষককে খুনের (Murder) অভিযোগ আরও এক প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে তাঁরা প্রতিবেশী বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের পরিবারের নামে কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের মৃত শিক্ষকের স্ত্রীর। সূত্রের খবর, কালনা শহরের শ্যমলাল পাড়ায় বসত বাড়ি ও তার জমি সংক্রান্ত বিষয় ঝামেলা চলছিল দুই শিক্ষকের মধ্যে। এরমধ্যে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক মহাদেব মল্লিককে (৪০)। এমনটাই দাবি তাঁর স্ত্রীর। এমনকী অভিযুক্ত শিক্ষক জমি সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন থেকেই তাঁর স্বামীকে শাসাতো বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্য়ায় কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকালে নিজের ঘর থেকে মহাদেব মল্লিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এদিকে বাড়িতে ছিলেন না তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। সকালের বাড়ির অন্যান্য সদস্যারা অনেক ডাকাডাকি করেও মহাদেববাবুর সাড়া না পেয়ে খবর দেন তাঁর স্ত্রীকে। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এসেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও ওই সুইসাইড নোট মহাদেববাবুর লেখা নয় বলে দাবি তাঁর স্ত্রী ঝর্না মল্লিকের। এমনকী তাঁর মোবাইল ফোন ও হাতের আংটি মেলেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঝর্না দেবীর আরও দাবি, হাতে কিছু সমস্যা ছিল মহাদেববাবুর। লিখতে পারতেন না সহজে। রোগ সারাতে খাচ্ছিলেন ওষুধও। তাই কোনওভাবেই তিনি ওই সুইসাইড নোট লেখেননি। এমনকী ওই হাত নিয়ে তাঁর পক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করাও সম্ভব নয় বলে দাবি তাঁর স্ত্রীর। সে কারণেই খুনের জোরালো দাবি করেছেন তিনি। এদিকে প্রদীপ সেন নামে যে শিক্ষকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর খোঁজ চলাচ্ছে পুলিশ। ঘটনার খবর চাউর হতেই চাপা উত্তেজনা গোটা এলাকায়।
মৃত শিক্ষক কালনা শ্বাসপুর দীঘির পাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় ঝর্না দেবী বলেন, “প্রদীপ ও ওর স্ত্রী প্রায়শই আমার স্বামীকে শাসাতো। প্রদীপও শিক্ষক। ওরা খুবই হিংসা করতো আমাদের। জমি নিয়ে একটা সমস্যা চলছিল। এরমধ্যে আমার স্বামীর নামে ফেসবুকে বাজে বাজে পোস্ট করিয়েছে ওরা। প্রতিহিংসা থেকেই ওরা এই কাজ করেছে বলে আমার মনে হয়। আমি থানায় প্রদীপ ও ওর স্ত্রীর নামে অভিযোগ জানিয়েছি।”