
বর্ধমান: বাবা-মা দু’জনেই হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন। বাড়িতে পড়াশোনার আবহই। তবে সারাক্ষণ পড়াশোনা নয়, পড়ার ফাঁকে ক্রিকেট খেলাও ভীষণ প্রিয় উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম রূপায়ন পাল। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭।
বর্ধমান সি এম এস হাই স্কুলের ছাত্র রূপায়ন। সে মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে পঞ্চম স্থান পেয়েছিল। কিন্তু এই র্যাঙ্কটা তার কাছে খুব একটা ম্যাটার করেননি। ভালবেসেই পড়াশোনাটা করে রূপায়ন। আর সেই ভালবাসাকে পুঁজি করেই এগিয়ে চলে রূপায়ন। মাধ্যমিক কাট টু উচ্চ মাধ্যমিক! পঞ্চম থেকে সরাসরি প্রথম! ভালবেসে যে লড়াই চালিয়েছিল রূপায়ন তা স্বার্থক। রূপায়নের কথায়, মাধ্যমিকের থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের পড়াশোনার ফারাকটা অনেকটাই। সিলেবাস অনেকটাই বড়। সেই অনুযায়ী কোনও রকমের ফাঁক না রেখেই পড়া করেছিল সে। কিন্তু প্রথম হবে, তা কখনই ভাবেনি সে।
চারজন গৃহশিক্ষক ছিল রূপায়নের। বাংলা আর ইংরেজি নিজেই পড়তো। পড়াশোনার বাইরে সময় পেলে ক্রিকেট খেলা দেখতে ভালবাসে সে। রূপায়নদের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের খেড়ুরগ্রামে। তবে বর্তমানে তারা থাকে বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লির কালিতলায়।
ছেলের সাফল্যে খুশি বাবা রবীন্দ্রনাথ পাল, তিনি পূর্ব বর্ধমানের জৌগ্রাম হাইস্কুলের শিক্ষকতা করেন। মা জয়শ্রী পাল ভাতারের ভাটাকুল স্বর্ণময়ী হাইস্কুলের শিক্ষিকা। ছেলের আর পাঁচ জন বাবা-মায়ের মতোই খুশি তাঁরা। তবে তাঁদের বক্তব্য, এই চেষ্টা চালিয়ে যেতেই হবে ছেলেকে।
রূপায়ন বলল, “র্যাঙ্ক হবে, সেটা আশা করেছিলাম। কিন্তু এতটাও ভাল আশা করিনি। সময় মেনে তো পড়িনি, তবে ১০-১২ ঘণ্টা পড়েছিলাম।” কঠিন চাপ নয়, ছেলে যাতে ভালবেসেই পড়াশোনা করে, সেই শিক্ষাই দিয়েছিলেন রূপায়নের মা। আজ ছেলের সাফল্যে বললেন, “পড়াশোনাটা ভালবেসেই করে। ছোটবেলা থেকে এটাই চেষ্টা করেছিলাম, ও যেন পড়াশোনাকে ভয় না পায়। বই পড়তে এমনিতেই ভালবাসে। খেলাধূলোর সুযোগ তো পায়না, খেলা টিভিতে দেখে। এই সাফল্য পুরোটাই ওর ক্রেডিট! আমরা তো সাপোর্ট করেছি।”
(নীচের লিঙ্কে ক্লিক করলেই সবার আগে জানতে পারবেন ফলাফল। দিতে হবে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর।মুহূর্তেই মোবাইলে চলে আসবে সম্পূর্ণ রেজাল্ট। )