Mid Day Meal: মিড ডে মিলে ‘রাম-রহিমের’ আলাদা হাঁড়ি! বিতর্ক উঠতেই ২৫ বছরের বিভেদ মুছল TV9 বাংলা

Mid Day Meal: টিভি ৯ বাংলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিজেপিও। বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, “এই সমাজবোধ যদি সব জায়গায় জাগাতে পারি তাহলে তা বাংলাকে আরও এগিয়ে দেবে। মোদিজীই তো বলছেন, সবকা সাথ, সবকা বিকাশ।”

Mid Day Meal: মিড ডে মিলে রাম-রহিমের আলাদা হাঁড়ি! বিতর্ক উঠতেই ২৫ বছরের বিভেদ মুছল TV9 বাংলা
সম্প্রীতির ছবি পূর্বস্থলীতে Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Jun 25, 2025 | 4:02 PM

পূর্বস্থলী: এতদিন হিন্দু পড়ুয়াদের জন্য হচ্ছিল আলাদা রান্না, মুসলিম পড়ুয়াদের জন্য আলাদা! পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের নসরতপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কিশোরগঞ্জ মনমোহনপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ছবি দেখা যাচ্ছিল প্রায় দুই যুগ ধরে। সদ্য খবরটা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল শিক্ষা মহলের অন্দরে। অবশেষে টিভি ৯ বাংলার খবরের জেরে এক হল হাঁড়ি। মিটল ধর্মের বিভেদ। ভবিষ্যতে আর যেন এই বিভেদের ছবি আর দেখা না যায় সেই নির্দেশ দেওয়া হল প্রশাসনের তরফে। 

বিতর্কের আবহে কালনার মহকুমা শাসক শুভম আগরওয়াল মঙ্গলবারই মৌখিক জানিয়েছিলেন এই ঘটনা জানার পরেই দফতরের প্রতিনিধিদের ওই স্কুলে পাঠানো হয়েছিল। SI ও BDO দের নির্দেশ দেওয়া আছে ভবিষ্যতে এমন যেন না হয়। এদিন সকালেও স্কুলে পৌঁছে গিয়েছিল টিভি ৯ বাংলা। দেখা যায় স্কুলে একযোগে রান্না করছেন দুই সম্প্রদায়ের রাঁধুনি। রান্না হচ্ছে সোয়াবিনের তরকারি, ভাত। 

স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ বলছেন, “আজ তো একসঙ্গে করবই। অভিভাবকরা কী বলেন সেটা দেখা যাক। পরিচালন সমিতি রয়েছে। সদস্যরা শেষ পর্যন্ত যা সিদ্ধান্ত নেবেন আমি মেনে নিতে বাধ্য হব। তবে আমি আজ একসঙ্গে খাওয়াব।” 

টিভি ৯ বাংলার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার। তিনি বলছেন, “এই খবর করে আসলে দেশেরই উপহার করলে। একটা খুবই ভাল কাজ হল। নেতাজি যখন আজাদ হিন্দ ফৌজ তৈরি করেছিলেন তখন সংগঠনে তো সব ধর্মের লোক ছিলেন। কিন্তু, সবাই জাতিভেদ ভুলে একসঙ্গেই তো খেতেন।”

টিভি ৯ বাংলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিজেপিও। বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, “এই সমাজবোধ যদি সব জায়গায় জাগাতে পারি তাহলে তা বাংলাকে আরও এগিয়ে দেবে। মোদিজীই তো বলছেন, সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। সত্যিই তো দুটো হাঁড়ি থাকবে কেন? একটা হাঁড়িই থাকা উচিত।” এরপরই বাম-তৃণমূলকে একযোগে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলছেন, “২৫ বছর ধরে এটা চলছিল। অর্থাৎ ১৫ বছরের তৃণমূল শাসন, তার আগে ১০ বছরের বাম শাসন। বামেরা ছিল সাম্প্রদায়িক সৌজন্যের প্রতিভূ। কিন্তু, সেই সরকার ১০ বছরেরও এই বিভাজন রুখতে পারেনি। আর তৃণমূলও পরবর্তীতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত টিভি ৯ বাংলার প্রয়াসে হল। এই ছোট ছোট পরিবর্তন চলুক। সমাজবোধ জাগ্রত হোক।”