Physical Assault: ‘পিরিয়ড বন্ধ হয়েছে আপনার?’, বলেই মহিলার গোপনাঙ্গে হাত দেওয়ার অভিযোগ, TMC নেত্রীর স্বামীর ‘কীর্তিতে’ ছি ছি করছেন লোকজন

Physical Assault: পুলিশ জানিয়েছে, বাঁকুড়ার ইন্দাস থানা এলাকায় নির্যাতিত মহিলার শ্বশুরবাড়ি। রায়না থানার নাড়ুগ্রামে তাঁর বাপেরবাড়ি। গত ১৩ মে সেহারাবাজারের নার্সিংহোমটিতে তাঁর গলব্লাডারে অস্ত্রোপচার হয়। গত ১৮ মে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসক অপারেশনের ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করার জন্য পরামর্শ দেন।

Physical Assault: পিরিয়ড বন্ধ হয়েছে আপনার?, বলেই মহিলার গোপনাঙ্গে হাত দেওয়ার অভিযোগ, TMC নেত্রীর স্বামীর কীর্তিতে ছি ছি করছেন লোকজন
ধৃতকে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হয়Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jun 04, 2025 | 3:50 PM

রায়না: শ্লীলতাহানির অভিযোগে পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্যের স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি পেশায় ওটি অ্যাসিস্ট্যান্ট। ড্রেসিং করাতে গিয়ে রোগীনির উপর যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার পুলিশ। ধৃতের বাড়ি রায়না থানা এলাকায়। ধৃতের স্ত্রী রায়না ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য।

সোমবার রায়না থানার শ্যামসুন্দরের হাটতলা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি রায়না থানার সেহারাবাজারের একটি নার্সিংহোমের ওটি অ্যাসিস্ট্যান্ট। ধৃতকে মঙ্গলবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ২ জুন ধৃতকে ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।

পুলিশ জানিয়েছে, বাঁকুড়ার ইন্দাস থানা এলাকায় নির্যাতিত মহিলার শ্বশুরবাড়ি। রায়না থানার নাড়ুগ্রামে তাঁর বাপেরবাড়ি। গত ১৩ মে সেহারাবাজারের নার্সিংহোমটিতে তাঁর গলব্লাডারে অস্ত্রোপচার হয়। গত ১৮ মে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসক অপারেশনের ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করার জন্য পরামর্শ দেন। মহিলা তাঁর বাপেরবাড়িতে এসে ওঠেন। চিকিৎসকের পরামর্শমতো তাঁর ড্রেসিং শুরু হয়। রবিবার ড্রেসিংয়ের তৃতীয় দিনে সকাল ১০টা নাগাদ মহিলার বাড়িতে যান অভিযুক্ত ওটি অ্যাসিস্ট্যান্ট। মহিলাকে ঘরে একা থাকতে বলেন। ড্রেসিং করার পর মহিলার পিরিয়ড বন্ধ হয়েছে কি না জানতে চান। মহিলা তা বন্ধ রয়েছে বলে জানান। অভিযোগ, এরপরই চেকআপ করার নাম করে মহিলার গোপনাঙ্গে হাত দেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। মহিলার শ্লীলতাহানিও করেন বলে অভিযোগ। মহিলাকে চুম্বন করতে যান। মহিলা তাতে বাধা দেন। চিৎকার করে তিনি তাঁর মাকে ডাকেন। তাঁর মা এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যান।

ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা। ঘটনার সময়ের মহিলার পরনের পোশাক পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। ধৃতের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক স্টেট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মহিলার গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করিয়েছে পুলিশ।