BLO: ‘ভাবছিলাম গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে যাব, দরকার নেই চাকরি’, ট্রেনিংয়ে গিয়ে কেঁদে ফেললেন বিএলও
SIR in Bengal: প্রশিক্ষণ শিবিরে আসা বিএলও-দের একাংশ কাজের চাপ নিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বেশ কয়েকজন তো তারপর কাটোয়া ১ নম্বর বিডিও অফিসে চলা ওই প্রশিক্ষণ শিবির ছেড়ে বেরিয়েও যান। তা নিয়েও চাপানউতোর তৈরি হয়।

কাটোয়া: ডাক এসেছিল প্রশিক্ষণের। সেই প্রশিক্ষণে এসে কাজের চাপে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বিএলও। কাটোয়ায় ৭৯ নম্বর বুথের BLO-র দায়িত্ব পেয়েছেন দেবাশিস দাস। শারীরিক অসুস্থতার মধ্যে বিলি করেছেন এসআইআর ফর্ম। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশেষ প্রশিক্ষণের সময় বিএলও অ্যাপে ভোটারদের তথ্য আপলোড করতে বলা হয়। আর সে কথা শুনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন দেবাশিসবাবু। কাঁদতে কাঁদতেই বলেন, “আমি পারব না। আমারে মেরে ফেলুন।” বিএলও-র এই অবস্থা নাড়া দেয় বাকি সতীর্থদেরও।
প্রশিক্ষণ শিবিরে আসা বিএলও-দের একাংশ কাজের চাপ নিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বেশ কয়েকজন তো তারপর কাটোয়া ১ নম্বর বিডিও অফিসে চলা ওই প্রশিক্ষণ শিবির ছেড়ে বেরিয়েও যান। তা নিয়েও চাপানউতোর তৈরি হয়। কাঁদতেই কাঁদতেই উচ্চস্বরে দেবাশিস দাস নামে ওই বিএলও-কে বলতে শোনা যায়, “সামনে কার্তিক পুজো আছে। এক একটা এন্ট্রি করতে গেলে ১৫ মিনিট করে টাইম লাগছে। ১১০০ ভোটার কী করে ফিলাপ করব? আমার না আছে স্নান, না আছে খাওয়া। আমার ফ্য়ামিলি লাইফ শেষ হয়ে গিয়েছে। কালকে আমি ভাবছিলাম গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে যাব। আমার চাকরি দরকার নেই। আপনারা আমাকে শোকজ করুন। আমাকে মেরে ফেলুন। আমাকে গুলি করে দিন।”
চাপাউতোরের মধ্যেই কাটোয়ার এসডিও অনির্বান বসু বলছেন, আমরা ওনাদের যা কাজ করতে বলেছি সবটাই কমিশনের নির্দেশ মেনে। কাটোয়া মহকুমার তিনটি বিধানসভার বিএলওদের ডেকে বিএলও অ্য়াপ ও বিলি করা এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে বলেছি। কীভাবে সেগুলি ডিজিটাইজ হবে তার জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ৯০ শতাংশের উপরে বিএলও হাজির ছিলেন।
