
পূর্ব বর্ধমান: শিবরাত্রি উপলক্ষে বর্ধমানের একশো আট শিবমন্দিরে ন’দিন ব্যাপি অনুষ্ঠান। জেলা ও জেলার বাইরে থেকে বহু জেলা ও জেলার বাইরে থেকে বহু পুণ্যার্থী এখানে শিবরাত্রিতে (Shivratri) পুজো দিতে ভিড় করেন। আসেন ভিন রাজ্যের ভক্তরাও। দিনভর অগণিত ভক্তের সমাগম হয় ইতিহাস প্রাচীণ এই মন্দিরে। অনেকেই এখানে একশো আটটি মন্দিরে ঢুকে শিবলিঙ্গে জল ঢেলে ব্রত পালন করেন। শিবরাত্রি উপলক্ষে নয় দিনের মেলা বসে মন্দির ও তার আশপাশ এলাকায়।
নামে একশো আট শিব মন্দির। আছে একশো ন’টি। জপমালার মতো আছে একশো আটটি মন্দির। বর্ধমানের একশো আট মন্দিরের খ্যাতি এখন ভারত জোড়া। সারা বছর দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ভক্তরা এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন।
বর্ধমানের নবাবহাটে ১৭৮৯ খ্রীস্টাব্দে বহু অর্থ ব্যয় করে এই মন্দির গড়েছিলেন মহারানি বিষণকুমারী। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধু সন্ন্যাসীদের এনে জাঁকজমক করে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এই মন্দিরমালা বর্ধমানের এক অনন্য শিল্পকীর্তি৷ মন্দিরগুলির গঠন একই রকমের। মন্দিরগুলির অবস্থান যেমন পাশাপাশি, তেমনি প্রতিটি মন্দিরের সামনেই আছে খোলা টানা বারান্দা। প্রতিটি মন্দিরই একটি দরজার। সব মন্দিরেই রয়েছে কষ্টিপাথরের গৌরীপট্ট-সহ শিবলিঙ্গ।
দিনভর অগণিত ভক্তের সমাগম হয় ইতিহাস প্রাচীণ এই মন্দিরে। অনেকেই এখানে একশো আটটি মন্দিরে ঢুকে শিবলিঙ্গে জল ঢেলে ব্রত পালন করেন। বর্ধমানের একশো আট মন্দিরের খ্যাতি এখন ভারত জোড়া। সারা বছর দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ভক্তরা এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। আজ সকাল থেকেই ভক্তরা তাদের মনস্কামনা জানাতে ভিড় জমাচ্ছে মন্দির চত্বরে।