কালনা: চিনা মাঞ্জা সুতোয় ঘুড়ি ওড়ানো নিষিদ্ধ। দুর্ঘটনা ঘটেছে প্রচুর। পুলিশ নজরদারি চালিয়েছে। সচেতনামূলক প্রচারও চালানো হয় সময় সময়ে। কিন্তু তাতেও সচেতনতা কই? নিষিদ্ধ মাঞ্জা সুতোয় মুখ ফালা ফালা করে কেটে গেল এক ব্যক্তি। কান থেকে থুতনি পর্যন্ত রীতিমতো ‘হা’ হয়ে গিয়েছে। গুরুতর জখম হয়ে কালনা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তি। সেলাই পড়েছে ২২টি।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ কাজ সেরে বাইকে কালনার সাহাপুর কালীতলা এলাকা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন কল্যাণপুরের বাসিন্দা করুণা দে। উত্তরায়ণ উপলক্ষে কালনা শহরে ঘুড়ি উড়ানোর চল রয়েছে। তাই সারাদিনই কালনার আকাশে ঘুড়ি উড়ছে। সন্ধ্যা নাগাদ কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে সুতো দেখতে পাননি করুণা। সুতো লাগে মুখে। চলন্ত বাইকেই তাঁর কানের কাছ থেকে থুতনি পর্যন্ত কেটে যায়।
বাইক থেকে ছিটকে পড়ে যান তিনি। গলগল করে মুখ থেকে রক্ত বেরোতে থাকে। রাস্তায় পড়েই কাতরাতে থাকেন তিনি। পরে পথচলতি কয়েকজনের বিষয়টি নজরে আসে। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে কালনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর মুখে ২২টা সেলাই পড়ে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে গিয়েছে ওই ব্যক্তির। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
কথা বলতে পারছেন না করুণা। তাঁর আত্মীয় বলেন, “এরপরও যদি মানুষের শিক্ষা না হয়, কী বলার আছে। মানুষটা তো মরেও যেতে পারত। ভয়ঙ্কর অবস্থা হয়েছে মুখের।”