কালনা: মেয়ের মৃত্যু হয়েছে আগেই। এবার আত্মঘাতী হলেন মা-ও। পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার অন্তর্গত গুপ্তিপুর এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, মেয়ে মৃত্যুর সুবিচার না পেয়ে আগে থেকেই ভেঙে পড়েছিলেন মহিলা। তারপর আদালতের নির্দেশে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে জিনিসপত্র আনতে গেলে পুলিশ তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন বলে বাড়ির সদস্যদের জানান। এরপর মানসিক অবসাদ থেকে আত্মহত্যা করলেন তিনি। এই বিষয়ে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বক্তব্য পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই তদন্ত হবে।
মৃতের নাম প্রতিমা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বাড়ি কালনা থানার অন্তর্গত গুপ্তিপুর এলাকায়। ওই মহিলার স্বামী সুশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, চলতি বছরের জুন মাসে তাঁদের মেয়ে সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ি চলে আসে। সেখানে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কালনায় বাপের বাড়িতে হাজির হয়। সুস্মিতার বাবার দাবি, শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি তাঁকে মানসিক নির্যাতনও করা হত। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
ঘটনার জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। কোর্ট নির্দেশে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর যাবতীয় জিনিসপত্র আনতে যান প্রতিমা দেবী। অভিযোগ, সেখানে গেলে তাঁকে অপমান করা হয়। এমনকী বুলবুলিতলা ফাঁড়ির এক পুলিশও তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। এরপরই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ওই মহিলা। নিজের বাড়ি ফিরে আত্মঘাতী হন তিনি।
এরপর দেহ উদ্ধারে পুলিশ গেলে স্থানীয় বাসিন্দা এবং পরিবারের সঙ্গে পুলিশের বচসা সৃষ্টি হয়। তাদের দাবি, জোরপূর্বক পুলিশ মৃতদেহ নিয়ে এসে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হলেও মৃতের পরিবারের তরফ থেকে কেউই এদিন কালনা হাসপাতালে যায়নি। এ প্রসঙ্গে জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ঘটনায় যদি কেউ অভিযুক্ত হয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে।