কাটোয়া: ষাঁড়ের গুঁতোতে মৃত্যু হল এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর। মৃতের নাম বদরে আলম চৌধুরী। বয়স ৬৭। ক্ষোভে ফুঁসছে মৃতের পরিবার ও এলাকাবাসীরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে কাটোয়া স্টেশন রোডে। এর আগেও এই ষাঁড়টি প্রায় ২০ থেকে ২২ জনকে পথচারীকে জখম করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে কাটোয়া পুর সভার পুর প্রধান বলেন, “খুবই দুঃখ জনক ঘটনা। দ্রুত ষাঁড়টিকে ধরে অন্যত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে বটে, কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা তাও ক্ষোভে ফুঁসছেন। তাঁদের বক্তব্য, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহর স্টেশন বাজারের বেশ কিছু অংশ জুড়ে বছরের পর বছর গরু ও ষাঁড়ের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র উঠে হয়ে উঠেছে। তাতে পথ চলতি মানুষের চলাফেরা হয়ে ওঠে দুষ্কর। বাচ্চা নিয়ে রাস্তায় বের হতে ভয় পান মায়েরা। আবার কোনও বয়স্ক কিংবা অসুস্থ ব্যক্তিও গরু-ষাঁড়ের তাণ্ডবে আতঙ্কে থাকেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই এই স্টেশন বাজার চত্বরেই একটি ষাঁড় বেশ কয়েকজনকেই গুঁতিয়েছিল। যার ফলে প্রায় ২০ থেকে ২২ জন জখম হয়।
দুপুরে বিদ্যুৎ দফতরের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী পেনশন তুলতে ব্যাঙ্কে যাচ্ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, যাওয়ার পথেই ওই ষাঁড়টি তাঁকে পেটে গুঁতো মেরে আছড়ে মাটিতে ফেলে। চোখ ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লাগে তাঁর।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রত্যক্ষদর্শীরা তাঁকে উদ্ধার করে কাটোয়া মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সন্ধ্যায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার জন্য গাড়িতে তোলার সময়ই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।