Katwa: হেলমেট টেবিলে রাখলে কিংবা সিগারেটের প্যাকেট হাতে গুঁজলেই সরকারি দফতরের কাজ হাসিল! ওতেই যে রয়েছে ‘গুপ্তধন’

Katwa: কেতুগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের বিরুদ্ধে একাধিকবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।এই দফতরে রাতারাতি বদলে যায় জমির মালিকানার নাম, পাল্টে যায় জমির আকার, এমনও অভিযোগ রয়েছে।

Katwa:  হেলমেট টেবিলে রাখলে কিংবা সিগারেটের প্যাকেট হাতে গুঁজলেই সরকারি দফতরের কাজ হাসিল! ওতেই যে রয়েছে গুপ্তধন
অভিযুক্ত আধিকারিকImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 09, 2023 | 11:29 AM

কেতুগ্রাম:  কারোর হাতে হেলমেট, কারও আবার হাতে সিগারেটের প্যাকেট। তার মধ্যেই খামে রয়েছে আসল জিনিস। আর দফতর থেকে  যাওয়ার আগে রেভিনিউ ইন্সপেক্টরের হাতে সিগারেটের প্যাকেট গুঁজে দিয়ে যাচ্ছেন কেউ। কেউ বা টেবিলে রাখছেন হেলমেট। সেখান থেকেই অনায়াসে তুলে নেওয়া যাচ্ছে সেই ‘খাম’। রেভিনিউ অফিসারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ বিস্তর।  দফতরের আমিনকে টাকা দিলেই মহুরি না ধরে মিলবে জমির নথি।যোগসাজস রয়েছে বালি ও মাটি মাফিয়াদের সঙ্গেও। এছাড়াও জমির রেকর্ড বা সম্পত্তির মালিকানা বদল বা ভুল সংশোধন করতে অথবা একাধিক বিষয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। কাঠগড়ায় কেতুগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের এক আধিকারিক ও এক কর্মীর বিরুদ্ধে।

কেতুগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের বিরুদ্ধে একাধিকবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।এই দফতরে রাতারাতি বদলে যায় জমির মালিকানার নাম, পাল্টে যায় জমির আকার, এমনও অভিযোগ রয়েছে।

রয়েছে আরও অভিযোগ, বছরের পর বছর সম্পত্তি বা জমির নথির জন্য দফতরে এলেও কাজ হয় না। অথচ টাকা দিলেই হয় কাজ। কাজের প্রয়োজনে প্রতিদিন দফতরে আসা মানুষজনদের অভিযোগ, বার বার এসেও কাজের সমাধান হয় না।বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। অথচ যাঁরা টাকা দেন তাঁদের কাজ হয়ে যায়।

বিএলআরও অফিসে অভিযোগ জানানো এক ব্যক্তি বলেন, “কেতুগ্রাম ২ নম্বরের বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। অনাথ রায় ও মৃণাল মুখোপাধ্যায় নামে  দু’জন বড় ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। কোনও রেকর্ডেড জমির জন্য, বা অন্য কাজের জন্য যখনই বলছি, কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আর ওদের সঙ্গে বালি-মাটি মাফিদের সঙ্গে যোগ রয়েছে। ওদের লোক বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছে, টাকা দিতে হবে, তা না হলে কোনও জমি রেকর্ড হবে না এই অঞ্চলে।”

বহুবার দফতরে দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে লাভ না হওয়ায় এবার BDO র কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিলেন এলাকাবাসীরা। এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রেভিনিউ ইন্সপেক্টর মৃণাল মুখোপাধ্যায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
“হয়তো স্বার্থে আঘাত লাগতেই এই মিথ্যা অভিযোগ।” আর এক অভিযুক্ত এই দফতরের কর্মী অনাথ রাহা। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “কেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ বলতে পারবো না।” অন্য দিকে BDO বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে আমি গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।” আর বিএলআরও এ বিষয়ে কোনও কথাই বলতে চাননি।