
কাটোয়া: কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের এক্সরে যন্ত্র বিকল। রোগীদের টাকা খরচ করে বাইরে থেকে এক্সরে করতে হচ্ছে। হাসপাতালের বিভাগের দরজায় নোটিস টাঙিয়ে আউটডোরের রোগীদের এক্সরে পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকার বার্তা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যদিও এক্সরে বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান. চলতি বছরের অক্টোবর মাসে হাসপাতাল সুপারকে এক্সরে যন্ত্রের খারাপ অবস্থা জানিয়ে চিঠি দিলে স্বাস্থ্য দফতরের ইঞ্জিনিয়ার গিয়ে এক্সরে যন্ত্রটি বিকল বলে জানিয়ে দেয়।
২৮০ শয্যার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের উপর পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া,কালনা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও নদিয়ার একাংশের মানুষ নির্ভরশীল থাকেন।আউটডোরে গড়ে দৈনিক প্রায় হাজার খানেক রোগী স্বাস্থ্য পরিষেবা নিতে আসেন। এই রকম এক গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালের এক্সরে যন্ত্র দু’মাসের উপর বিকল হয়ে পড়ে আছে। এক্সরে বিভাগের টেকনিশিয়ানরা জানান, ইনডোর আউটডোর মিলিয়ে গড়ে দৈনিক দুই শিফটে ৪৫-৫০ জন মতো রোগীর এক্সরে করা হয়।
গত কয়েকমাস ধরে এক্সরে যন্ত্রের বিকলের কথা লিখিতভাবে জানিয়ে কোনও সুরাহা মেলেনি। আউটডোর রোগীরা হাসপাতালে এক্সরে পরিষেবা না পেয়ে নিজেদের টাকায় বেসরকারি ল্যাবে গিয়ে এক্সরে করাচ্ছেন। বিপদে পড়েছেন দুঃস্থরা। এদিকে ইনডোর রোগীদের জরুরি পরিষেবা দিতে একটি পোর্টেবল এক্সরে যন্ত্র রাখা হয়েছে।
হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার সুশান্ত বরণ দত্ত বলেন, “সমস্যা হচ্ছে একথা ঠিক। নতুন এক্সরে যন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রকে চিঠি দিয়েছি। ইন্ডোর রোগীদের জন্য পোর্টেবল এক্সরে যন্ত্র দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে।” তবে এ সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।