
কাটোয়া: রেমাল-দুর্যোগে বিধ্বস্ত বাংলা। তবে যে রকম বিপদের পূর্বাভাস ছিল, সেরকম প্রভাব ফেলতে পারেনি রেমাল। এখন রেমাল কেবলই ঘূর্ণিঝড়। বৃ্ষ্টি দিনভর। আর এটাই তো সুরাপ্রেমীদের কাছে আদর্শ সময়! তাই রেমালের আগেই দিনই ভিড় উপচে পড়েছিল পাড়ার মদের দোকানে। বিক্রিবাট্টা চলে রাত পর্যন্ত। প্রায় দেড় লক্ষ টাকারও বেশি বিক্রি বাট্টা কয়েক দিনে, তেমনটাই বলছেন মালিক। রাতে সেই টাকা দোকানের ক্যাশ কাউন্টারে রেখেই গিয়েছিলেন মালিক। কিন্তু রেমাল দুর্যোগে যখন সকলে গৃহবন্দি, তখনই ঘটল দুঃসাহসিক ডাকাটি। ২ লক্ষ টাকার ডাকাতি। লুঠ গেল গোটা মদের দোকান। খোয়া গেল নগদ টাকা সহ ২ লক্ষ টাকার সামগ্রী। কাটোয়ার মুস্থূলী গ্রামের ঘটনা। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রিমালের পূর্বাভাসে রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে রাস্তাঘাটে লোক কম। রাত যত বেড়েছে, তখনই জনমানবহীন হয়েছে রাস্তা। আর দুষ্কৃতীরা সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছে। রাস্তার ধারে বিলিতি মদের দোকানে তালা ভেঙে আলমারি থেকে নগদ ১ লক্ষ ৩০ হাজার বেশি টাকা-সহ দামী ব্যান্ডের মদের বোতল নিয়ে চম্পট দেয় তারা। এছাড়াও দোকানে থাকা হার্ড ডিস্ক ও সিসি ক্যামেরা খারাপ করে দেয় দুষ্কৃতীরা।
দোকান মালিক বুদ্ধদেব ঘোষ বলেন, “দুর্যোগের জন্য রাতে দোকানে কেউ ছিল না।গত রবিবারের বিক্রির পর ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা-সহ আরও কিছু টাকা দোকানেই ছিল।দুর্যোগের সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুষ্কৃতীরা তালা ভেঙে সব নিয়ে চম্পট দেয়।” ইতিমধ্যেই কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। সিসিটিভি না থাকায় শনাক্তকরণেও সমস্যা হচ্ছে।