Kalna Hospital: সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের শৌচাগার দেখে চোখ কপালে সাংসদের, খাট পেতে বিক্রি হচ্ছে জামাকাপড়
Kalna Hospital:মহিলাদের শৌচাগার দেখেও চমকে যান সাংসদ। ভিতরে রাখা আছে বাইক। অর্থাৎ গ্যারাজ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে সেই ঘর।
কালনা: ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে কালনা মহকুমা হাসপাতালে গিয়েছিলেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল। নিজের সাংসদ তহবিলের অর্থ দিয়ে ওই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তিনি তৈরি করে দিয়েছিলেন শৌচাগার। সেই শৌচাগার দেখতে গিয়েই চমকে যান সাংসদ। একটি বাথরুমের দরজা খুলে দেখেন ভিতরে পাতা রয়েছে খাট, আর এক পাশে দড়িতে ঝুলছে একগুচ্ছ জামাকাপড়। পাশের ঘর অর্থাৎ মহিলাদের শৌচাগার দেখেও চমকে যান সাংসদ। ভিতরে রাখা আছে বাইক। অর্থাৎ গ্যারাজ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে সেই ঘর। রোগীর পরিজনেরা বাথরুম ব্যবহার করবেন কীভাবে? প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংসদ। সঙ্গে সঙ্গে সব বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি।
সোমবার দুপুরে হাসপাতাল চত্বরে এই ছবি দেখে শৌচাগারের দায়িত্বে থাকা এক কর্মীকে রীতিমতো ধমক দিতে দেখা যায় সুনীল মণ্ডলকে। অবিলম্বে এই সমস্ত কিছু সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। বর্তমানে কালনার রংপাড়ার বাসিন্দা গোকুল মণ্ডল ওই শৌচাগার চালাচ্ছিলেন। আর সেখানেই তিনি পেতে বসেছেন জামাকাপড়ের ব্যবসা।
জানা গিয়েছে, ওই শৌচাগারের টেন্ডার প্রথমে পেয়েছিলেন সুশান্ত মজুমদার ওরফে পুটান নামে এক ব্যক্তি। অভিযুক্ত গোকুল মণ্ডলের দাবি, মোটা টাকার বিনিময়ে এই ঘর দুটি তাঁকে দিয়ে গিয়েছেন সুশান্ত মজুমদার। কিন্তু শৌচাগার থেকে যা আয় হয়, তাতে তাঁর সংসার চলে না বলে দাবি করেছেন গোকুল।
সরকারি জায়গার টেন্ডার পেয়ে টাকার বিনিময়ে তা বিক্রি করা হল কীভাবে, সেই প্রশ্নও সামনে আসছে। এ প্রসঙ্গে সাংসদ সুনীল মণ্ডল বলেন, এইরকম কেউই করতে পারেন না। যিনি টেন্ডার পেয়েছিলেন, তাঁর টেন্ডার ক্যানসেল করে, নতুন দু’জনকে নিয়োগ করা হবে। তাঁরা যেন ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা দেন, সেটাও দেখতে হবে।