পূর্ব বর্ধমান: মঙ্গলকোটে তৃণমূল (TMC) নেতা অসীম দাস হত্যাকাণ্ডের তদন্তে এ বার স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (Special Investigation team) তৈরি করল বর্ধমান পুলিশ। চার সদস্যের এই বিশেষ টিমে থাকছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এসডিপিও, মঙ্গলকোট থানার আইসি ও ওই থানারই প্রাক্তন আইসি।
তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, সুপারি কিলার নিয়োগ করে খুন করা হয়েছে তৃণমূল (TMC) নেতাকে। গত সোমবার, মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতা অসীম দাস বিকেলে নিজের মোটরবাইকে করে কাসেমবাজারে যান। সেখান থেকে তিনি সন্ধ্যায় একাই নিজের বাড়ি লাখুড়িয়াতে মোটরবাইকে করে ফিরছিলেন। সেইসময় পেছন থেকে তাঁকে ‘দাদা’ বলে ডাকে দুষ্কৃতীরা। গাড়ি থামিয়ে পেছনে ঘুরতেই অসীমবাবুকে গুলি করা হয়। গুলিটি লাগে তাঁর বুকের বাঁদিকে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়েছে। ফলে, প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্য়ু হয় তাঁর।
তৃণমূল নেতার হত্য়ার পরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে। অসীমবাবুর মৃত্য়ুর পরেই ব্যাপক ধরপাকড়ও শুরু করে পুলিশ। মঙ্গলবার, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তোপ দেগে বলেন, “তৃণমূলের লোকেরাই তাদের নেতাকে খুন করেছে।” পাশাপাশি, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেন।
মৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের যদিও অভিযোগ, বিজেপি নয় বরং তৃণমূলের (TMC) ‘বি গোষ্ঠী’ এই কাজ করেছে। অসীমবাবু দলে থাকুন এমন চাইতেন না অনেকেই। আগেও, একবার দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হয়েছিলেন অসীম। মৃত নেতার পরিবারের আরও দাবি, মঙ্গলকোটে তৃণমূলই ক্ষমতায়। বিধানসভার পর বিজেপির আর কোনও অস্তিত্বই নেই। তাই, এই খুনের পেছনে তৃণমূলের ‘অন্য গোষ্ঠী’ ছাড়া আর কারও হাত নেই বলে অভিযোগ অসীমবাবুর পরিবারের। ঘটনায় ৪ তৃণমূল কর্মীর নামে থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন মৃতের পরিবার। আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের লোকই খুন করেছে’, মঙ্গলকোট-কাণ্ডে তোপ দিলীপের, ‘দুঃখজনক’, মন্তব্য শুভেন্দুর