পূর্ব বর্ধমান: মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা অসীম দাসের হত্যাকাণ্ডে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। তড়িঘড়ি চার সদস্যের বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বর্ধমান জেলা পুলিশ। বুধবার, মৃত নেতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বীরভূমের জেলা সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল( Anubrata Mondal)।
এদিন, তৃণমূল নেতা ( Anubrata Mondal) বলেন, “অসীমের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে আলাদা সম্পর্ক ছিল। ও একটা ভাল লোক ছিল। কে ওকে খুন করেছে তার জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে আগেই বলেছে পুলিশ। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, কালকের মধ্যে জানিয়ে দেব কে খুন করেছে। বিজেপি হোক, বিজেপির বাইরে হোক, কেউ ছাড় পাবে না। সাজা পাইয়ে রেখে দেব। শেষ করে দেব একদম। আগেও বারণ করেছিলাম একবার। তারপরেও এই ঘটনা ঘটল। এ বার আমি দেখে নেব।” যদিও, মৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের দাবি, অসীমবাবুকে খুন করেছে তৃণমূলেরই ‘অন্য গোষ্ঠী’। সে প্রসঙ্গে, এদিন অনুব্রত বলেন, “পরিবারের লোকজনের তখন মাথা ঠিক ছিল না, তাই বলেছে। ওই পরিস্থিতিতে সেটাই স্বাভাবিক। যে দোষ করেছে সে শাস্তি পাবেই।”
তৃণমূল নেতার গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্য়ুর ঘটনায় যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন তৃণমূলের লোকেরাই খুন করেছে ওই নেতাকে। এমনকী, ওই মৃত্যুকে ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার, অনুব্রত মৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর অসীমবাবুর ছেলে বলেন, “আমার বাবা শেষ দিন পর্যন্ত তৃণমূলেই ছিলেন। কেষ্ট দা আজ এসেছিলেন। তিনি আমাদের ভরসা। তিনি যখন বলেছেন নিশ্চই বিচার পাবে বাপি। আমরা কখনোই বলিনি যে তৃণমূলের লোকেরা আমার বাবাকে মেরেছে। কে মেরেছে আমরা জানি না। তবে, কেষ্ট দা যখন বলেছেন নিশ্চয়ই বিচার হবে।”
উল্লেখ্য, গত সোমবার, লাখুড়িয়ার নিজের বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতা অসীম দাস। খুব কাছ থেকেই দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে। গুলিটি বুকের বাঁদিকে লাগে অসীমবাবুর। ঘটনাস্থলেই মারা যান তৃণমূূল নেতা। আরও পড়ুন: মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা খুনের তদন্তে ৪ সদস্যের বিশেষ দল