Mangokot: ‘খুন করতে চাইনি, বাধ্য করা হয়েছিল’, তৃণমূল নেতা হত্যাকাণ্ডে স্বীকারোক্তি ধৃত সুরজের

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Oct 21, 2021 | 3:21 PM

TMC Leader Murder Case: সিআইডি সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতা অসীম দাস খুনে মূল অভিযুক্ত সুরজকে গত ১৮ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়। বীরভূমের বোলপুর থানার ঘিদহের বাসিন্দা সুরজ নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে নিউ মানালি থানা এলাকায় তিন মাসের জন্য গা-ঢাকা দিয়েছিলেন।

Mangokot: খুন করতে চাইনি, বাধ্য করা হয়েছিল, তৃণমূল নেতা হত্যাকাণ্ডে স্বীকারোক্তি ধৃত সুরজের
মঙ্গলকোট-কাণ্ডে মৃত তৃণমূল নেতা অসীম দাস, নিজস্ব চিত্র

Follow Us

পূর্ব বর্ধমান: তৃণমূল নেতা অসীম দাস খুনে নয়া মোড়। মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা (TMCV Leader) খুনে মূল অভিযুক্ত সুরজ রহমানকে আগেই গ্রেফতার করেছিল সিআইডি (CID)। বৃহস্পতিবার ধৃতকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পেশ করা হয়। সেখানে, সুরজ জানান, খুন করতে তিনি চাননি। তাঁকে বাধ্য করা হয়েছিল। খুনের জন্য় দেওয়া হয়েছিল মোটা টাকা। এমনকী, সুরজ ছাড়াও আরও কয়েকজন এই খুনে যুক্ত বলে দাবি ধৃতের।

সিআইডি সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতা অসীম দাস খুনে মূল অভিযুক্ত সুরজকে গত ১৮ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়। বীরভূমের বোলপুর থানার ঘিদহের বাসিন্দা সুরজ নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে নিউ মানালি থানা এলাকায় তিন মাসের জন্য গা-ঢাকা দিয়েছিলেন। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে কৌশলে তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি। জেরায় সুরজ বলেছেন, “আমি খুন করতে চাইনি। আমাকে খুন করার জন্য বাধ্য করা হয়েছিল। আমায় ভয় দেখানো হচ্ছিল।” পাশাপাশ, জেরায় সুরজ আরও জানিয়েছেন, তৃণমূল নেতা অসীম দাসকে খুনের জন্য রাজু শেখ পাঁচ লক্ষ টাকা সুপারিও দিয়েছিলেন। খুন করার পর ১০ হাজার টাকা নগদ পান সুরজ। শুধু তাই নয়, তিনি ছাড়াও এই খুনে আরও অনেকে জড়িত বলে জানিয়েছেন ধৃত সুপারি কিলার।

প্রসঙ্গত, গত ১২ জুলাই সন্ধ্যারাতে সিউর গ্রামের বাসস্ট্যান্ডের কাছে তৃণমূল নেতা অসীম দাস দুষ্কৃতীর গুলিতে খুন হন। এই খুনে শুরু হয় জোর রাজনৈতিক চাপানউতোর। তার পর গত ১৫ জুলাই সাবুল সেখ ও সামু সেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যায়, তাঁরাও তৃণমূলেরই নেতা। এই খুনের ঘটনায় মোট সাত জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে সিআইডির তরফে। তার পর এদিন সেই মামলার আবেদনের শুনানি।

সূত্রের খবর, এই খুনের ঘটনায় বেশ কিছু ফোন কল রেকর্ড সিআইডি-র গোয়েন্দার হাতে এসেছে। খুনের আগে অভিযুক্তরা ফোনে গোটা পরিকল্পনা করেছেন বলে অভিযোগ। সেই কল রেকর্ড অভিযুক্তদের কিনা তা যাচাই করার জন্য ভয়েস স্যাম্পল নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলকোটে বিশেষ সরকারি আইনজীবী আজ শুনানির জন্য গিয়েছেন। এর পর এই খুনের মামলায় ২ অন্যতম অভিযুক্ত অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করে আদালতে। CID তরফে পাল্টা জামিন নাকচের দাবি জানানো হয়।

মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতা খুনে নজরুল সেখ নামে মঙ্গলকোটের চাকদা গ্রামের বাসিন্দাকে গত সোমবার বিকালে বর্ধমান শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অসীম দাস খুনের ঘটনায় রিপন শেখ নামেও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে গ্রেফতার করা হয় নবাবহাট থেকে। মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া অঞ্চল সভাপতি তৃণমূল নেতা অসীম দাসের খুনের অভিযোগে এ পর্যন্ত মোট সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়। অসীম দাসের খুনের পরিকল্পনার লিঙ্কম্যান হিসেবে নজরুল শেখ কাজ করেছিল বলে সিআইডি জানতে পারে।

আরও পড়ুন: Sitai: বাড়ি থেকে টেনে এনে বিজেপি কর্মীর উপর ‘হামলা’, ‘বোমাবাজি’, উত্তপ্ত সিতাই!

Next Article