পূর্ব বর্ধমান: কয়েকদিন আগেই বাঁকুড়ায় সন্দেহভাজন দুই মাওবাদী গ্রেফতার হয়। ঘটনায় পুলিশ উদ্ধার করে প্রচুর নথি। শুরু হয় তদন্ত। এই ঘটনার কিছুদিন কাটতে না কাটতেই পূর্ব বর্ধমানে পাঁচ লাখ টাকা চেয়ে চেয়ে এক পরিবারকে চিঠি পাঠালো মাওবাদীরা। ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত গোটা পরিবার। তবে কি ধীরে ধীরে ফের সক্রিয় হচ্ছে মাওবাদ?
পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার বনপাস পঞ্চায়েতের আমবোনা গ্রামে বাস করেন হাজরা পরিবার। শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়ির ছোট ছেলে অয়ন হাজরা ঘরের সদর দরজা বন্ধ করতে নীচে নামেন। তখনই তিনি লক্ষ করেন একটি সাদা খাম পড়ে রয়েছে। খামটি হাতে নিতেই হতবাক হয়ে যান তিনি।
কী লেখা রয়েছে খামটিতে?
দেখেন গোটা-গোটা অক্ষরে লেখা ‘জয় বজরং বলি,আমরা মাওবাদী। আপনার গৃহকর্তা ৪০-৫০ লাখ টাকা রেখে গেছেন,সেই টাকা থেকে আমাদেরকে ৫ লাখ টাকা দেবেন,নাহলে বাড়ির ছোট ছেলে অসুবিধায় পড়বে।আর এই টাকাটি আমবোনা গ্রামের বেল তলায় এনে রাখবেন সেখান থেকে সংগ্রহ করে নেওয়া হবে।’
পরিবারের সদস্য অয়ন হাজরা জানান, “এর আগেও এই ধরনের চিঠি তাদের পরিবারকে দেওয়া হয়েছিল। প্রায় তিন চার বছর আগে আমার জেঠুর বাড়িতে এই ধরনের হুমকি চিঠি আসত। গতকাল রাতে দেখি দরজার কাছে কাগজ পড়ে। কী কাগজ দেখার জন্য খুলতেই দেখি এই কাণ্ড। আমাদের কাছে টাকার দাবি করেছে ওরা।” চিঠি পাওয়ার পরই হাজরা পরিবারের ছোট ছেলে ভাতার থানায় দ্বারস্থ হন। শনিবার রাতেই ভাতার থানার পুলিশ আমবোনা গ্রামের হাজরা বাড়িতে যায়। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন হাজরা পরিবারকে। বাড়ির গৃহকর্তী জানান, “খুবই ভয়ে আছি। কাল রাত থেকেই চিন্তায় আছি। পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ বলেছে চিন্তার কিছু নেই। তারা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।”
প্রসঙ্গত, গতকালও মাওবাদী হামলার খবর আসে। ওড়িশ্যার ভুবনেশ্বরে খুন হন এক তরুণ সাংবাদিক।শনিবার বিকেলে এক আইইডি বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে ওড়িশার মদনপুর- রামপুর ব্লকে মোহনগিরি গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন্ন নির্বাচনে ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে মাওবাদী পোস্টার পড়েছিল। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে ওই সাংবাদিক সেই পোস্টারের সামনে যাওয়া মাত্র বিস্ফোরণ হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই সাংবাদিকের নাম রোহিত বিশওয়াল। কালাহান্ডি জেলার ওই সংবাদপত্রে তিনি কাজ করতেন।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
পূর্ব বর্ধমান: কয়েকদিন আগেই বাঁকুড়ায় সন্দেহভাজন দুই মাওবাদী গ্রেফতার হয়। ঘটনায় পুলিশ উদ্ধার করে প্রচুর নথি। শুরু হয় তদন্ত। এই ঘটনার কিছুদিন কাটতে না কাটতেই পূর্ব বর্ধমানে পাঁচ লাখ টাকা চেয়ে চেয়ে এক পরিবারকে চিঠি পাঠালো মাওবাদীরা। ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত গোটা পরিবার। তবে কি ধীরে ধীরে ফের সক্রিয় হচ্ছে মাওবাদ?
পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার বনপাস পঞ্চায়েতের আমবোনা গ্রামে বাস করেন হাজরা পরিবার। শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়ির ছোট ছেলে অয়ন হাজরা ঘরের সদর দরজা বন্ধ করতে নীচে নামেন। তখনই তিনি লক্ষ করেন একটি সাদা খাম পড়ে রয়েছে। খামটি হাতে নিতেই হতবাক হয়ে যান তিনি।
কী লেখা রয়েছে খামটিতে?
দেখেন গোটা-গোটা অক্ষরে লেখা ‘জয় বজরং বলি,আমরা মাওবাদী। আপনার গৃহকর্তা ৪০-৫০ লাখ টাকা রেখে গেছেন,সেই টাকা থেকে আমাদেরকে ৫ লাখ টাকা দেবেন,নাহলে বাড়ির ছোট ছেলে অসুবিধায় পড়বে।আর এই টাকাটি আমবোনা গ্রামের বেল তলায় এনে রাখবেন সেখান থেকে সংগ্রহ করে নেওয়া হবে।’
পরিবারের সদস্য অয়ন হাজরা জানান, “এর আগেও এই ধরনের চিঠি তাদের পরিবারকে দেওয়া হয়েছিল। প্রায় তিন চার বছর আগে আমার জেঠুর বাড়িতে এই ধরনের হুমকি চিঠি আসত। গতকাল রাতে দেখি দরজার কাছে কাগজ পড়ে। কী কাগজ দেখার জন্য খুলতেই দেখি এই কাণ্ড। আমাদের কাছে টাকার দাবি করেছে ওরা।” চিঠি পাওয়ার পরই হাজরা পরিবারের ছোট ছেলে ভাতার থানায় দ্বারস্থ হন। শনিবার রাতেই ভাতার থানার পুলিশ আমবোনা গ্রামের হাজরা বাড়িতে যায়। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন হাজরা পরিবারকে। বাড়ির গৃহকর্তী জানান, “খুবই ভয়ে আছি। কাল রাত থেকেই চিন্তায় আছি। পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ বলেছে চিন্তার কিছু নেই। তারা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।”
প্রসঙ্গত, গতকালও মাওবাদী হামলার খবর আসে। ওড়িশ্যার ভুবনেশ্বরে খুন হন এক তরুণ সাংবাদিক।শনিবার বিকেলে এক আইইডি বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে ওড়িশার মদনপুর- রামপুর ব্লকে মোহনগিরি গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন্ন নির্বাচনে ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে মাওবাদী পোস্টার পড়েছিল। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে ওই সাংবাদিক সেই পোস্টারের সামনে যাওয়া মাত্র বিস্ফোরণ হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই সাংবাদিকের নাম রোহিত বিশওয়াল। কালাহান্ডি জেলার ওই সংবাদপত্রে তিনি কাজ করতেন।