পূর্বস্থলী: ফুলকপি কিনতে বাজারে হাজির রাজ্যের মন্ত্রী। শুরু হল সরকারি সহায়ক মূল্যে ফুলকপি কেনা। বিগত কয়েকদিন ধরেই এক টাকা পিস হিসেবে পাইকারি বাজাকে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষকরা। এরপরই উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। রাজ্যের উদ্যোগে সরকারি সহায়ক মূল্যে পাঁচ টাকা দরে ফুলকপি কেনার কাজ শুরু হল।
মঙ্গলবার সকালে বর্ধমানের নিমতলার কিষাণ মান্ডিতে ২০০০ পিস ফুলকপি কেনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সকাল সকালই হাজির হন ডেপুটি ডিরেক্টর (এগ্রিকালচার) সুদীপ পাল, রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। মন্ত্রী বলেন, “গতকাল ৫০০ পিস ফুলকপি কেনা হয়েছে, আজ ২০০০ পিস কেনার টার্গেট নিয়ে আসা হয়েছে। শুধু ফুলকপি নয় অন্য সবজিও বাজারের চেয়ে বেশি দামে কেনা হবে।”
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কৃষকদের কথা ভেবে ৫ টাকা দরে ফুলকপি কিনে নেওয়া হচ্ছে। এটা নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, “কেউ কখনও শোনেননি যে শীতকালীন সবজি সরকার কিনে নিচ্ছে।” ধান ও পাটের পর এবার ফুলকপিতেও দেওয়া হচ্ছে সহায়ক মূল্য!
কয়েক সপ্তাহ আগেও সবজি বাজারে ফুলকপি বিক্রি হয়েছে চড়া দামে। বেশি দামেই দেদার কিনেছেন ক্রেতারাও। আর এখন চাহিদা নেই বললেই চলে। বর্ধমানের কৃষকরা জানিয়েছেন, একটা প্রমাণ সাইজের ফুলকপির দাম মাত্র এক টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে পাইকারি বাজারে। সেই অবস্থা সামাল দিতেই সরকারের এই উদ্যোগ।