
পূর্ব মেদিনীপুর: তাঁর সভা ঘিরে তৈরি হয়েছিল হাজারও জটিলতা। জল গড়ায় আদালত পর্যন্তও। হাইকোর্টের বেধে দেওয়া নির্ধারিত সময় বেলা ১১ টাতেই শুরু পূর্ব বর্ধমানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবতের সভা শুরু হয়। সভার শুরুতেই ভগবত বোঝালেন ‘ভারত’ ভূখণ্ডের মাহাত্ম্য! কারা এই দেশ থাকতে পারলেন আর কারা পারলেন না!
ভগবতের কথায়, “ভারতের একটা স্বভাব রয়েছে। ওই স্বভাবের সঙ্গে আমরা যাঁরা থাকতে পারব না, এরকমটা যাঁর মনে হয়েছে, ওঁরা তাঁদের আলাদা দেশ তৈরি করে নিয়েছে। তো একটা স্বাভাবিক, যাঁরা যাননি, তাঁরা ভারতেরই স্বভাব চান, সেই স্বভাবকেই আয়ত্ত্ব করে বেঁচে থাকার রশদ পান।”
ভগবতের কথার আদ্যোপ্রান্ত জুড়েই ছিল ভারত তথা ভারতীয় ও হিন্দু জাতির অভিযোজন ও অধ্যায়ন নিতে। আর সেকথা বলতে গিয়ে বারবার ইতিহাসকে আঁকড়ে ধরেছেন ভগবত। হিন্দু প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “ভারতীয়দের এই স্বভাব অনেক প্রাচীন। যাঁদের ভূগোলে ইন্দো ইরানিয়ান প্লেট বলে, এখানে বসবাসকারী সকলেই এই স্বভাব পেয়েছেন। এই স্বভাব হল, বিশ্বের বিবিধতাকে স্বীকার করে চলা, যেটা হিন্দু চলে। হিন্দু জানে, সত্য একটাই। সবার নিজের নিজের বিশিষ্টতা রয়েছে, হিন্দু জানে এই বিশিষ্টতা কী! বাকি সবই বদলাতে থাকবে। এই কারণেই নিজের নিজের বিশিষ্টতা নিয়ে চলো। সবার বিশিষ্টতার সম্মান করো।”
প্রসঙ্গত, আগামী বছরই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বাংলায় ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে একাধিক প্ল্যান নিয়ে এসেছে আরএসএস। সবার প্রথম তাঁদের লক্ষ্য সংগঠনকে মজবুত করা। আর সেক্ষেত্রে একেবারে গ্রামপঞ্চায়েত ও ওয়ার্ড ভিত্তিক ইউনিট গড়তে পরিকল্পনা নিয়েছে আরএসএস। আর তার রূপরেখা নির্ধারণ করতেই ভগবতের বাংলা-সফর!