
নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামে দেবব্রত মাইতি খুনের মামলায় কিছু নেতার জামিনের বিরোধিতা নয় কেন! সেটিং তত্ত্বের অভিযোগ সিপিআইএমের।
জমি আন্দোলনের পীঠস্থান নন্দীগ্রাম । আর সেই নন্দীগ্রামের শাসক ও বিরোধী আকচা আকচি চলে সব সময়। আর সেই নন্দীগ্রামেই ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক বোঝাপড়া হচ্ছে অন্দরে! একুশের ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় অভিযুক্তদের জামিনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের নিহতের স্ত্রী আবেদন করেছেন বলে জানা গিয়েছে। আর সেখানেই বেশ কিছু শাসক নেতৃত্বের নাম বাদ দেওয়াতেই শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন।
জানা যাচ্ছে, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসায় নন্দীগ্রামের চিল্লগ্রামে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিকে খুনের অভিযোগ ওঠে। ওই বছর ২মে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা হয়। আর ৩মে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের মহম্মদপুরের চিল্লগ্রামে বিজেপি কর্মী দেবব্রতকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের লোকজনের বিরুদ্ধে। পুলিশ কিছু তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতারও করে।
পরে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন শেখ শাহবুদ্দিন, শেখ বাইতুল, শেখ হাবিবুল -সহ ২০ জন তৃণমূল নেতা। অভিযুক্ত আরও এক তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানকে সুপ্রিম কোর্ট রক্ষাকবচ পায়। আর আবু তাহের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে হলদিয়া মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জেল হয়। এখন প্রত্যেকেই জামিনে মুক্ত রয়েছেন। আর এই ঘটনায় মৃতের স্ত্রী কল্পনা মহাপাত্র মাইতি কিছু অভিযুক্তদের জামিনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।
দেখা যাচ্ছে, সেখানে বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার জামিনের বিরোধিতা করা হয়নি পরিবারের পক্ষে। ছাড়ের তালিকায় আবু তাহের, শেখ খুশনবিশ সহ চার-পাঁচ জনের নাম রয়েছে। কেন বেছে বেছে এই নেতাদের রেহাই দেওয়া হল? তবে কি তলে তলে কোনও বোঝাপড়া চলছে? গ্রীষ্মের উত্তাপ বাড়লেও নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক টানাপোড়েন শাসকের অন্দরে কম নয়।