
পূর্ব বর্ধমান: ঈদের জন্য বাড়ি ফিরছিলেন। এনজেপি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ওঠেন পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার ইটাচাঁদার বিউটি বেগম। এরপরই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয় বিউটির। রাত যখন আড়াইটে, গুসকরার বাড়িতে আনা হয় বিউটির দেহ। শোকে স্তব্ধ পরিবারের লোকেরা। ভাবতেই পারছেন না, এমনও ঘটনা ঘটতে পারে।
বিউটির হলদিবাড়ি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে বাড়িতে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার সেই ট্রেন না থাকায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ওঠেন বিউটি। অসংরক্ষিত কামরাতেই ওঠেন তিনি। স্বামীকে ফোনে জানান, সিট পেয়েছেন, ট্রেনও ছেড়েছে এনজেপি থেকে। এরপরই খবর আসে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
জলপাইগুড়িতে বিউটির স্বামী হাসমত শেখ থাকেন। কর্মসূত্রে থাকেন তিনি। সেখানেই বিউটি এসেছিলেন। খবর পেয়ে বিউটির স্বামী হাসমত শেখ ও তাঁর সহকর্মী শেখ তারিক আনোয়ার পৌঁছন ঘটনাস্থলে। হলদিবাড়ি ইন্টারসিটি সোমবার চলে না। না হলে এমন সর্বনাশ হতো না, বলছেন বাড়ির লোকেরা।
শেখ তারিক আনোয়ার বলেন, “আমরা জানতাম না বৌদি ওই গাড়িতে আছেন। আমরা জানতাম হলদিবাড়িতে যাবেন। কিন্তু কাল হলদিবাড়ির ট্রেন ছিল না। তাই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসেই ওঠেন। সবে ট্রেন ১৫-১৮ কিলোমিটার এগিয়েছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।”