
বর্ধমান: আবার দেনার দায়ে আত্মহত্যা। এবারে এক কৃষকের মর্মান্তিক মৃত্যু। ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের কনকপুর গ্রামে। জানা গেছে, পাঁচ বছর ধরে চাষ করছিলেন তিনি। তবে লোকসান আর দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে পড়েন। এরপর গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতি হন ওই এক কৃষক। তাঁকে জামালপুর হাসপাতালে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের নাম সত্যনারায়ণ ঘোষ (৫০)। জামালপুর হাসপাতাল থেকে দেহ উদ্ধার করেছে জামালপুর থানার পুলিশ। আগামিকাল দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে বাড়ি থেকে গরু নিয়ে গিয়েছিলেন মাঠে। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। দীর্ঘক্ষণ দেখতে না পাওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। এরপর বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে থাকা একটি কুঁড়ে ঘরে গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিবেশীদের খবর দেওয়া হলে তারা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।
মৃত ব্যক্তির দাদা লক্ষীনারায়ণ ঘোষ জানান, “গত এক বছর আগে সত্যনারায়ণ ঘোষের স্ত্রীর মৃত্যু হয়। স্ত্রী বিয়োগের পর দীর্ঘ এক বছর ধরেই অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। পাঁচ বছর ধরে দশ বিঘা জমি চাষ করছিলেন। কিন্তু লোকসান বেড়েই চলছিল। এর ফলে দেনায় জড়িয়ে পড়েন এলাকার বিভিন্ন দোকানদার ও মহাজনের কাছে। পাওনাদাররা তাগাদা করছিলেন বাড়িতে এসে, কেউ কেউ কটুক্তিও করছিলেন। এর উপর গত বছর আলু চাষ করে তা পচে গিয়ে ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতির মুখে পড়েন। ধান চাষ করে ধান নষ্ট হয়ে যায়। অতিরিক্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বৃষ্টির ফলে তিলেতে ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় তাঁকে।” তিনি আরও বলেন, “যার ফলে দেনায় আরো জর্জরিত হয়ে পড়েন তিনি।”