Bardhaman: ‘ক্যানসার আক্রান্ত মেয়েটাকে বাঁচান’, সাহায্য চাইছেন দিনমজুর বাবা-মা

মেয়ের যন্ত্রণায় বাকরুদ্ধ বাবা-মা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ছুটোছুটি করতে। কখনও আত্মীয়দের কাছে, কখনও গ্রামবাসীর কাছে সাহায্যের হাত বাড়ানোর আকুতি নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় জোগাড় হওয়া পথ এখনও দীর্ঘ। অসহায় বাবা বলেন, "আমাদের মেয়েটাকে বাঁচাতে সাহায্য করুন। আপনার একটুখানি সহায়তাই ওকে নতুন জীবন দিতে পারে।"

Bardhaman: ক্যানসার আক্রান্ত মেয়েটাকে বাঁচান, সাহায্য চাইছেন দিনমজুর বাবা-মা
সাহায্যের আর্তি পরিবারেরImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 22, 2025 | 3:35 PM

রায়না (পূর্ব বর্ধমান): মা-বাবা দিনমজুর। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার। ক্যানসারে আক্রান্ত একমাত্র মেয়ে। আর তাঁকে বাঁচাতে মরিয়া দিনমজুর দম্পতি। মানবিক সহায়তার আবেদন করছেন দম্পতি।
পূর্ব বর্ধমানের রায়না ২ নম্বর ব্লকের উচালন গ্রাম পঞ্চায়েতের নরত্তমবাটির ঘটনা।

সেখানেই থাকেন পলাশ রায় ও সোমা রায়। তাঁরা পেশায় দিনমজুর। রয়েছে পাঁচজনের সংসার। মা-বাবা, ঠাকুমা, দিদিমা আর পরিবারের একমাত্র কন্যাকে নিয়ে গড়ে ওঠা এই ঘরটিতে প্রতিদিন চলে রুটি রুজির লড়াই। তবে তারই মাঝেই হঠাৎ নেমে এসেছে জীবন বদলে দেওয়া এক দুঃসংবাদ। পরিবারের সবার আদরের মেয়েটি টিউমার থেকে ক্যানসারে আক্রান্ত।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্রুত চিকিৎসা না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে। জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন প্রায় তিন লক্ষ টাকা। আর সেখানেই দাঁড়িয়েছে বড় সঙ্কট। কারণ দিনমজুর পলাশ রায়ের প্রতিদিনের আয় মাত্র ২০০ টাকা। সেই উপার্জন দিয়ে সংসার চালানোই দুরূহ, সেখানে এত বড় অঙ্কের চিকিৎসার খরচ বহন করা পরিবারের পক্ষে সম্পূর্ণ অসম্ভব।

মেয়ের যন্ত্রণায় বাকরুদ্ধ বাবা-মা। ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ছুটোছুটি করতে। কখনও আত্মীয়দের কাছে, কখনও গ্রামবাসীর কাছে সাহায্যের হাত বাড়ানোর আকুতি নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু যত টাকা প্রয়োজন, তা জোগাড় হয়নি। অসহায় বাবা বলেন, “আমাদের মেয়েটাকে বাঁচাতে সাহায্য করুন। আপনার একটুখানি সহায়তাই ওকে নতুন জীবন দিতে পারে।”—ভিজে গলায় এভাবেই আবেদন করছেন পলাশ রায় ও সোমা রায়। সাধারণ এক শ্রমজীবী পরিবারের এই অসহায় আর্তি আজ মানবিক সমাজের সামনে বড় প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেএকটি ছোট্ট প্রাণকে বাঁচাতে কি এগিয়ে আসবে মানুষ? উঠছে সেই প্রশ্নই।