পূর্ব বর্ধমান: পড়তে গিয়ে ‘স্যরের নোংরা আচরণ’-এর শিকার (Molestation) এক স্কুল ছাত্রী। অনলাইন ক্লাসের পর কিছু প্রশ্ন-উত্তর জানতে অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ি গিয়েছিল কিশোরী। সেই সময়, ওই শিক্ষক তাকে একা পেয়ে যৌন হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত শিক্ষক অখিলেশ সরকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিগৃহীতা কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, দোতলা বাড়ির একতলায় ক্লাস করান অখিলেশ সরকার নামের ওই শিক্ষক। ইংরেজি পড়াতেন অভিযুক্ত। দোতলায় থাকেন অখিলেশবাবুর স্ত্রী। সোমবার অনলাইন ক্লাসের পর কিছু প্রশ্ন-উত্তর বুঝতে সমস্যা হওয়ায় ওই শিক্ষকের বাড়িতে যায় কিশোরী। সেইসময়, একাই ছিল ওই কিশোরী। দোতলার ঘরে ছিলেন অখিলেশবাবুর স্ত্রী। আচমকাই, অভিযুক্ত ওই কিশোরীকে ঘরের একপাশে টেনে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্থা (Molestation) করেন বলে অভিযোগ। সেইসময়, নিগৃহীতা চিত্কার করতে গেলে তার মুখ চেপে ধরা হয় বলে অভিযোগ। পরে, অখিলেশবাবুর স্ত্রী নীচে এলে তাকে ওই পড়ুয়াকে ছেড়ে দেন অখিলেশবাবু। ঘটনার কথা কাউকে বললে ‘ফল ভাল হবে না’ বলে হুমকিও দেন বলে অভিযোগ।
নিগৃহীতার মায়ের কথায়, ” এতদিন ধরে মেয়ে পড়তে যাচ্ছে কোনওদিন এমন ঘটনা ঘটেনি। বাড়ি ফিরে মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে এসে সব কথা খুলে বলে। ওইদিন বাড়িতে একাই পড়তে গিয়েছিল মেয়ে। কেউ যখন ছিল না, সেই সুযোগে ওর মুখে হাত চাপা দিয়ে ওকে দেওয়ালে ঠেসে ধরেছিলেন স্যর। তারপর জাপটে ধরে যা নয় তাই করেছেন। গায়ের যেখানে সেখানে হাত দিয়েছেন। একজন শিক্ষক হয়ে কী করে এমন কাজ করলেন ভেবেও অবাক হচ্ছি। আমি চাই ওঁর কঠোরতম শাস্তি হোক। আমার মেয়ের সঙ্গে যা হয়েছে অন্য কারোর সঙ্গে যেন তা না হয়।”
অভিযুক্ত শিক্ষক অখিলেশ সরকারের স্ত্রীর অবশ্য দাবি, পুরোটাই পরিকল্পনামাফিক করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, “আমার স্বামী দোষ করলে আমি নিজেই বলতাম। কিন্তু, তিনি কিছু করেননি। তিনি নির্দোষ। সবটাই প্ল্যান করে সাজিয়েছে। আমার বাড়িতে ভাঙচুর করেছে ওরা। আমায় লাথি মেরেছে। জিনিস নষ্ট করেছে। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব। কতদূর যেতে পারে যাক।” কালনা থানার পুলিশ জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিগৃহীতার বয়ানও নেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আরও পড়ুন: ‘মেয়ের গায়ে যেখানে-সেখানে হাত দিয়েছে’, চোখে জল বাবার, অভিযুক্ত কম্পিউটার ‘স্যর’!