Bardhaman: তান্ত্রিকের সঙ্গে সমকামী সম্পর্ক, চরম খেসারত দিল বর্ধমানের যুবক
Bardhaman Murder: প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ডিভিসি সেচখালের পাশে গলসির দয়ালপুর ও সারুলের মাঠে একটা ঝোপের পাশে জমিতে উলঙ্গ দেহ পড়েছিল। কপালে,বুকে ও পেটে একাধিক জায়গাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি মৃতের আত্মীয়দের। দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি জিতের পোশাকগুলি উদ্ধার করে।
বর্ধমান: তিন বছর হয়েছে সম্পর্ক। এক তান্ত্রিকের সঙ্গে সমকামী সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন এক যুবক। তবে পরিণতি এতটা ভয়াবহ হবে ভাবতে পারেনি কেউ। তান্ত্রিকের হাতে খুন হল এক যুবক। মৃতের নাম জিত দানা (১৯)। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের গলসির খেতুড়া গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত তান্ত্রিক মিলন নাইয়াকে গলসি থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সোমবার অভিযুক্তকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃত তান্ত্রিক নিজেকে কালীসাধক বলে এলাকাবাসীর কাছে দাবি করতেন। তন্ত্রসাধনার পাশাপাশি ঝাড়ফুক করতেন। মৃতের পরিজনদের দাবি,শনিবার রাত থেকে জিতের কোনও খোঁজ ছিল না। রবিবার সকালে তান্ত্রিককে জিজ্ঞাসা করে জিতের নিথরদেহের খোঁজ মেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ডিভিসি সেচখালের পাশে গলসির দয়ালপুর ও সারুলের মাঠে একটা ঝোপের পাশে জমিতে উলঙ্গ দেহ পড়েছিল। কপালে,বুকে ও পেটে একাধিক জায়গাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি মৃতের আত্মীয়দের। দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি জিতের পোশাকগুলি উদ্ধার করে। স্থানীয়রা জানান, ওই ঝোপে একটা কালীর মূর্তি রয়েছে। বছরে একবার পুজো হয় সেখানে। মৃতের বাবা সমীর দানা পুরুলিয়া একটি চালকলের কর্মী। জিত রাজমিস্ত্রীর যোগাদার ছিলেন। জিতের বাবা বলেন,”আমার স্ত্রী শারিরিক অসুস্থ ছিলেন। বছর খানেক আগে ওই তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেই থেকে পরিচয়। তারপর থেকে আমাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করত ওই তান্ত্রিক।” সমীরবাবুর স্ত্রী মিতা বলেন,”ওই তান্ত্রিকের চালচলন ঠিক মনে হয়নি। তাই বাড়িতে আসাতে নিষেধ করেছিলাম। ছেলেকেও মেলামেশা করতে মানা করা হয়েছিল। আমরা ছেলেকে ওই তান্ত্রিক খুন করে দিতে পারে স্বপ্নেও ভাবিনি।”
জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ জানিয়েছেন, ধৃত সাধু মিলন নাইয়ার সঙ্গে মৃত যুবক জিত দানার সমকামী সম্পর্ক ছিল। শনিবার রাতে জিত নিখোঁজ ছিল। রবিবার সকালে বাড়ির লোকজন সাধুকে জেরা করে জানতে পারে জমিতে জিত পড়ে আছে। রাতে দু’জনের মধ্যে কোনও বিষয়ে অশান্তি হয়। তারপরই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় জিতকে।