Kalna: রাতে হাসপাতালে ভর্তি, সকালেই ‘গায়েব’ রোগী, শোরগোল কালনা হাসপাতালে
Kalna: রোগীর পরিজনদের বক্তব্য, কালনা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে গেলে জানানো হয়, যেহেতু রোগীর বাড়ি বলাগড় থানা এলাকায়, তাই বলাগড় থানায় যেতে হবে। বলাগড় থানায় যান লক্ষ্মণের পরিজনরা। সেখানে তাঁদের বলা হয়, যেহেতু ঘটনাটি কালনা হাসপাতালের ঘটনা, তাই কালনা থানায় যেতে হবে।

কালনা: খোঁজ নেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর। বিগত ১২ দিন ধরে রোগীর খোঁজ পাচ্ছে না তাঁর পরিবার। ঘটনায় কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে রোগীর পরিবার। একইসঙ্গে তাদের বক্তব্য, দীর্ঘ টালবাহানার পর কালনা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি নেওয়া হয়। লক্ষ্মণ সিং নামে ওই রোগীর খোঁজে কালনা মহকুমা শাসকের দফতরে অভিযোগ জমা দেন তাঁর স্ত্রী। ছবি নিয়ে খোঁজ চালাচ্ছে পরিবার।
হুগলির বলাগড় থানার ড্যামরগাছা গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মণ সিং। গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় লক্ষ্মণ সিং বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেইসময় একটি বাইক তাঁকে ধাক্কা মারে। আহত অবস্থায় কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী ঝর্ণা সিং হাসপাতালে রাতে থাকতে গেলে বলা হয়, মহিলারা থাকতে পারবেন না। রোগীকে হাসপাতলে রেখেই বাড়ি চলে যান তিনি। পরের দিন সকাল দশটা নাগাদ হাসপাতালে ওয়ার্ডে ঢুকে দেখা যায় বেডে নেই লক্ষ্মণ সিং।
কালনা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে গেলে জানানো হয়, যেহেতু রোগীর বাড়ি বলাগড় থানা এলাকায়, তাই বলাগড় থানায় যেতে হবে। বলাগড় থানায় যান লক্ষ্মণের পরিজনরা। সেখানে তাঁদের বলা হয়, যেহেতু ঘটনাটি কালনা হাসপাতালের ঘটনা, তাই কালনা থানায় যেতে হবে। এক থানা থেকে অন্য থানায় ঘোরাঘুরি করতে করতে অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়। রোগীর পরিজনরা জানান, পরে কালনা থানার পুলিশ তাদের থানায় ডেকে নিয়ে অভিযোগ নেওয়া হবে বলে জানায়। অভিযোগ, পুলিশ নিজেদের বয়ানে সেই অভিযোগপত্র লিখিয়ে নেয়। কিন্তু সেই অভিযোগপত্রেরও কোন রিসিভ দেওয়া হয়নি।
এই খবরটিও পড়ুন




এই পরিস্থিতিতে স্বামীর খোঁজে কালনা মহকুমা শাসকের দফতরে আবেদন করেছেন লক্ষ্মণ সিংয়ের স্ত্রী ধর্ণা সিং। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ওয়ার্ড থেকে তাঁর স্বামীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন।
অন্যদিকে যে হাসপাতালের দিকে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে, সেই কালনা হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার গৌতম বিশ্বাস হাসপাতাল থেকে রোগী উধাও হওয়ার কথা স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, “১৩ তারিখ রাতে ভর্তি করা হয়েছিল। পুরুষ ওয়ার্ড হওয়ায় রোগীর স্ত্রীকে ওয়ার্ডের বাইরে থাকতে বলা হয়েছিল। সেদিন রাতে চিকিৎসা হয়েছিল রোগীর। পরদিন সকালে বেডে তাঁকে দেখা যায়নি। বাড়ির লোককেও তখন হাসপাতালে দেখা যায়নি। রোগী চলে যাওয়ার পর আমরা সঙ্গে সঙ্গে কালনা থানায় জানিয়েছি।” তিনি আরও বলেন, অনেক সময় রোগীরা নানা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের বাইরে যান। ফলে নিরাপত্তারক্ষীদের পক্ষে সবসময় বোঝা যায় না কেন কেউ বাইরে যাচ্ছেন। এবার থেকে রোগীরা কেউ বাইরে গেলে নিরাপত্তারক্ষীদের তার কারণ লিখে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।





