
কাটোয়া: এক, দুই, তিন, একের পর এক ঘণ্টা এভাবেই কেটে যাচ্ছে হাঁসফাঁস গরমে। বিদ্যুৎহীন আস্ত একটা হাসপাতালে তবুও জেনারেটর চলেনি। তাই অসুস্থ রোগীরা যেমন গরমে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তেমনই হাতপাখা চালিয়ে গরম কাটাতে হচ্ছে রোগী পরিজনদের। মহিলা ও শিশু বিভাগে গরমে শিশুদের কান্নার শব্দে যেন টেকা দেয়। মঙ্গলবার সকালে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের এটাই ছিল চিত্র।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক ঘণ্টা যাবত বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকার অভিযোগ উঠেছে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। এমনকী রোগীদের পরিত্রাণ দেওয়ার কথা হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটরের চালিয়ে। কিন্তু তাও নাকি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে ফ্যানের হওয়া ছাড়াই গরমে হাঁসফাঁস করছে সারিবদ্ধ ওয়ার্ডগুলি।
এ দিকে, বেলা বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে বাড়তে থাকা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বহু রোগী। তীব্র গরমে মহিলা ও শিশু বিভাগের বাইরে শুধুমাত্র শিশুদের কান্নার আওয়াজ। সবচেয়ে সঙ্গীন অবস্থা শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসাধীন রোগীদের অবস্থা। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় অপারেশন থিয়েটার, লিফট সহ এডগুচ্ছ জায়গা কার্যত সদ্ধ হয়ে গিয়েছে। শিশু বিভাগে ভর্তি এক শিশুর মা ঝর্ণা বাগ বলেন, ‘প্রচণ্ড গরম ওয়ার্ডের ভিতর। বাচ্চাকে কিছুতেই এক জায়গায় বসিয়ে রাখা যাচ্ছে না। হাত পাখা দিয়ে হাওয়া করে যতটা সম্ভব গরম কম করার চেষ্টা করছি। অনেকক্ষণ থেকেই এভাবে চলছে।’
বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের এক নার্স বলেন, ‘সকাল ৭:১৫ মিনিট থেকে বিদ্যুৎ নেই। রোগীদের মতো আমাদেরও সমস্যা হচ্ছে। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি জেনারেটরের কাজ চলছে। হয়ত শীঘ্রই কারেন্ট চলে আসবে। এই অবস্থায় আমাদের তো কিছু করার নেই। আমাদের হাত-পা বাঁধা।’ অপরদিকে, হাসপাতালের লিফটম্যান সুকান্ত দাস বলেন, ‘কারেন্ট নেই তাই আমিও দাঁড়িয়ে রয়েছি। কোনও রোগী চাইলেও উপরে নিয়ে যেতে পারছিনা। যতক্ষণ না কারেন্ট আসবে ততক্ষণ লিফট তো চালানো সম্ভব নয় এটা সকলেই বুঝতে পারছে।’ যদিও, কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।