Purba Burdwan: বড় র‍্যাকেট চলছে, বুঝতে পারছে বনদফতর… গ্রেফতার ৫

Jamalpur: জামালপুরের কুলিন গ্রামে সেই হরিণের শিং কিনতে ক্রেতা সেজে যায় বনদফতরের দুই কর্মী। তখনই জামালপুর পুলিশের সহযোগিতায় হাতেনাতে ৫ জনকে পাকড়াও করা হয়। উদ্ধার হয় ২০টি সম্বর হরিণের শিং। ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশন অ্যাক্ট ১৯৭২-এর আওতায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে দু'জন পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা, তিনজন পূর্ব বর্ধমানের জৌগ্রামের বাসিন্দা।

Purba Burdwan: বড় র‍্যাকেট চলছে, বুঝতে পারছে বনদফতর... গ্রেফতার ৫
এই শিংগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 14, 2024 | 9:16 PM

পূর্ব বর্ধমান: ক্রেতা সেজে হানা দেয় বনদফতরের কর্মীরা। আর তাতেই কেল্লা ফতে। সম্বর হরিণের শিং পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় পাঁচজন। ধৃতদের কাছ থেকে ২০টি সম্বর হরিণের শিং। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার কুলিন গ্রামের ঘটনা।

ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কনট্রোল ব্যুরোর কাছে খবর আসে। সেখান থেকে থানা ও বনদফতরের সঙ্গে যোগাযোগ। এরপরই চলে অভিযান। বনদফতরের দুই কর্মী ক্রেতা সেজে হাতনাতে পাকড়াও করে চক্রটিকে।

জামালপুরের কুলিন গ্রামে সেই হরিণের শিং কিনতে ক্রেতা সেজে যায় বনদফতরের দুই কর্মী। তখনই জামালপুর পুলিশের সহযোগিতায় হাতেনাতে ৫ জনকে পাকড়াও করা হয়। উদ্ধার হয় ২০টি সম্বর হরিণের শিং। ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশন অ্যাক্ট ১৯৭২-এর আওতায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে দু’জন পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা, তিনজন পূর্ব বর্ধমানের জৌগ্রামের বাসিন্দা।

সহকারী বনাধিকারিক সোমনাথ চৌধুরী বলেন, “ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কনট্রোল ব্যুরো ইস্টার্ন রিজিওনের কাছে খবর ছিল। সেইমত আমরাও দু’জন স্টাফকে ওখানে রেখেছিলাম। জৌগ্রামের কাছে পোস্ট অফিসের পাশের বাড়িতে এসব রাখা ছিল। জামালপুর থানা এলাকার মধ্যে পড়ে। ৫ জনকে ধরা হয়েছে। এরমধ্যে মূলত ২ জন বাইরে থেকে নিয়ে এসেছে। ওরা আসানসোলের। এরা একটা র‍্যাকেটের সঙ্গে যুক্ত। বন্যপ্রাণ সংক্রান্ত অপরাধের র‌্যাকেট। বাকি তিনজন জৌগ্রামের। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি হরিণের সিংটা ঝাড়খণ্ড বিহার থেকে এনেছে। ওরাও সঠিক কথা বলে না। সম্বরের শিং এটা। ২০ পিস রয়েছে। শুক্রবার আদালতে তোলা হবে। যাতে জামিন না পায়, সে চেষ্টাই থাকবে। মূলত ঘর সাজানোর জন্য কাজে লাগে। বাইরে থেকে পাখি, হরিণের শিং নিয়ে আসে এরা। ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কনট্রোল ব্যুরো এ নিয়ে কাজ করে।”